বাঁহাতি ব্যাটারকে ডানহাতি পেসারের ওভার দ্য উইকেট থেকে বল করার এই এক সুবিধা! বেরিয়ে যেতে থাকা বলে আউটসাইড-এজ হলেই স্লিপে ক্যাচ উঠার প্রবল সম্ভাবনা। শান মাসুদকে এই নিয়মেই আউট করেছেন নাহিদ রানা।
রানার লেগসাইডে ফেলা বলটা বেরিয়ে যেতে দ্রুতগতিতে। তাতে ব্যাট ছুঁয়ে আউটসাইড-এজ হন শান মাসদু। তবে আউটসাইড-এজ হয়ে বলটা স্লিপে কারো কাছে যায়নি, উইকেটরক্ষক লিটন দাসই তা লুফে নিয়েছেন। ২৮ রানে ফিরেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। নাহিদ নিয়েছেন মহামূল্যবান বাবর আজমের উইকেটও। ১১ রানে শান্তকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাবেক অধিনায়ক। এ টেস্টে নাহিদ রানার এটা তৃতীয় উইকেট, আগের ইনিংসে তিনি নিয়েছিলেন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা রিজওয়ানের উইকেট।
রিজওয়ানকে আজও তুলে নেয়ার মোক্ষম সুযোগ তৈরি করেছিলেন নাহিদ। কিন্তু স্লিপে সাদমান ইসলাস হাতে উঠা বলটা ঠিকঠাক তালুবন্দি করতে পারেননি। তা সত্ত্বেও ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে এই মুহূর্তে কাঁপছে পাকিস্তান। নাহিদ রানা দৃশ্যপটে আসার আগে তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন আগের দিনের অপরাজিত থাকা সাইম আয়ুবের উইকেট। ৩৫ বলে ২০ রান করেন পাকিস্তানি ওপেনার।
তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে ঝলক দেখিয়েছিলেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ। ১৩৮ রান করা লিটন দাসকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন তিনি। আবদুল্লাহ শফিককে ৩ রানে ও নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা খুররাম শেহজাদকে শূন্য রানে ফেরান তিনি।
শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের তৃতীয় দিনের শুরুটা হয়েছিল খুব বাজেভাবে। ২৬ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় টাইগার বাহিনী। সেখান থেকে লিটন দাস ও মেহেদী মিরাজের ইতিহাস-গড়া জুটি বাংলাদেশকে টেনে তুলে। মিরাজ ২২ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেও লিটন ১২ রানের জন্য দেড়শতক মিস করেন। প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রান করা পাকিস্তানের চেয়ে ১২ রানে পিছিয়ে থেকে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১২:২২:৩০ ১৭ বার পঠিত