বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেট সহায়তার জন্য বিশ্ব ব্যাংকের কাছে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
আজ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক-এর নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এলে উপদেষ্টা এই অনুরোধ জানান। জবাবে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে আন্তরিকতার সাথে বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর।
এসময় ফাওজুল কবির বলেন, বর্তমান সরকার একটি দৃঢ় ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছে। দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই তিনি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পর্কিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১)-এর অধীনে চলমান কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধিত) আইন, ২০২৩-এর ৩৪ক ধারায় সরকারের বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতাও স্থগিত করেছেন। প্রয়োজনে এ আইন দুটো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশোধন বা বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ফলে এখন থেকে সব ধরনের ক্রয় প্রক্রিয়ায় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধানবলী ব্যবহার করা হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির পরিকল্পনা প্রণয়ন বেগবান করা হবে জানিয়ে ফাওজুল কবির আরো বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানি বাবদ বর্তমান বৈদেশিক মূল্য পরিশোধের দায় প্রায় ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তাই তিনি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেট সহায়তার জন্য বিশ্ব ব্যাংকের কাছে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার অনুরোধ জানান জ্বালানি উপদেষ্টা।
ফাওজুল কবিাকে অভিনন্দন জানিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, তারা বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেট সহায়তার ব্যাপারে প্রস্তাব পেলে আন্তরিকতার সাথে বিবেচনা করবেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নরুল আলম, অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৭:০৯ ৩৯ বার পঠিত