বুধবার, ২১ আগস্ট ২০২৪

শামিম ওসমান এর সরকারি পি,এ মান্না যেন নারায়ণগঞ্জের দ্বিতৃীয় গডফাদার

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » শামিম ওসমান এর সরকারি পি,এ মান্না যেন নারায়ণগঞ্জের দ্বিতৃীয় গডফাদার
বুধবার, ২১ আগস্ট ২০২৪



শামিম ওসমান এর সরকারি পি,এ মান্না যেন নারায়ণগঞ্জের দ্বিতৃীয় গডফাদার

২০০৯ সালে শামীম ওসমানের সরকারি ভাবে পি,এ হিসেবে নিয়োগ পান হাফিজুর রহমান মান্না, দীর্ঘ ১৫ বছর টানা নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পি,এ হিসেবে বহাল তবিয়তে থাকেন । এই সুযোগে তিনি জাতীয় সংসদ থেকে সরকারি ভাতা সহ সকল সুবিধা ভোগ করেন ।

নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের শাসনকালে মান্না যেন এক শামীম ওসমানের ভেতর আরেক শামিম ওসমান হিসেবে দ্বিতৃীয় গডফাদার। নারায়ণগঞ্জ জেলায় প্রশাসনের বদলি নিয়োগ বাণিজ্য থেকে শুরু করে সরকারি সকল দপ্তরে ছিল ঘুষ বাণিজ্য ,বৈষম্য বিরোধী
ছাত্র জনতার আন্দোলন কে রুখে দিতে শামীম ওসমান ও শাহনিজামের সাথে কিলিং মিশনে অংশ নেন নারায়ণগঞ্জে এই মান্না ।

কোথায় এখন হাফিজুর রহমান মান্না ? যার কথায় নারায়ণগঞ্জে বাঘে মহিষে এক ঘাটে জল খেতো ! সেই হাফিজুর রহমান মান্নাকে খুঁজতেছে নারায়ণগঞ্জের অনেক ভূক্তভোগী ।

বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার সরিকলের সাকোকাঠী গ্রামের মরহুম আব্দুল মজিদ মোল্লার পুত্র এই হাফিজুর রহমান মান্না নারায়ণগঞ্জে প্রভাব দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। নানা নামে বেণামে সরকারী অর্থ হাতিয়ে নেয়ার জোড় অভিযোগ থাকলেও কেউ মুখ খুলে কথা বলার সাহস করতো না। কারণ মহাধূর্ত এই হাফিজুর রহমান নারায়ণগঞ্জ- ৪ আসের সাংসদ একে এম শামীম ওসমান এমপির সরকারি ব্যক্তিগত সহকারি ।

আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলের অত্যান্ত প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানের প্রভাবে এই পি,এ হাফিজুর রহমান মান্না বরিশালের গৌরনদী সরিকল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ হাতিয়ে নিয়ে স্কুলটিতে লুটপাটের মহোৎসব চালায় দীর্ঘদিন যাবৎ।

---

একদিকে শামীম ওসমান আরেক দিকে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর নাম ব্যবহার করে গত কয়েক বছরের শত কোটি টাকার মালিক বনে যান এই হাফিজুর রহমান ।

নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের টেন্ডারের নামে লুটপাটের শত শত কোটি টাকা এই হাফিজুর রহমান মান্না নিয়ন্ত্রণ করতো বলেও জোড় অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে শামীম ওসমানের সহযোগী একজন রাজনৈতিক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “শামীম ওসমান ও তার পরিবার আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের কয়েক ঘন্টা আগে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার প্রাক্কালে ঘনিষ্ঠ সাঙ্গপাঙ্গদের সরকার পতনের ম্যাসেজ দিয়ে আত্মগোপেনে চলে যান।
---

এর পূর্বে সর্বশেষ জুন মাসে নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের টেন্ডার হওয়ার ১০ শতাংশ পার্সেন্টেজ হিসেবে প্রায় কয়েক শত কোটি টাকা ঠিকাদার সমিতির কথিত সভাপতি সালাউদ্দিন নিজ হাতে শামীম ওসমানের চাচাতো শ্যালক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি যুবলীগ নেতা এহসানুল হক নিপুর মাধ্যমে পুরানো টাকার এক হাজার টাকার বান্ডেল বস্তায় নিয়ে একটি টেক্সির বেকডালায় ভর্তি করে সালাউদ্দিন ও নিপু এমপি শামীম ওসমানের পিএস হাফিজুর রহমান মান্নার কাছে পৌঁছে দেয়।”

সূত্র আরো জানায়, ‘এভাবে গত কয়েক বছরের প্রায় এক হাজার কোটি টাকার টেন্ডারে শামীম ওসামনের পি,এ হাফিজুর রহমান মান্নার কাছে কম করে হলেও এক শত কোট টাকা শুধু মাত্র গণপূর্ত বিভাগ থেকে পৌঁছে দেয় আরেক মাহাধূর্ত ঠিকাদার সালাউদ্দিন। এমন গণপূর্ত বিভাগের মতো অন্যান্য বিভাগে এমন একেক জন সালাউদ্দিন ঠিকাদারীর কমিশন পি,এ হাফিজুর রহমান মান্নার কাছে পৌছে দেয়ার দায়িত্ব পালন করতো ।

---

প্রতিটি সেক্টর থেকে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের এমন শত শত কোটি টাকার কমিশন ছা্ড়াও ওই সালাউদ্দিনের ১ শতাংশ আর হাফিজুর রহমান মান্নার ১ শতাংশ হারে কমিশন আদায় করতো ঠিকাদারদের কাছ থেকে। এভাবেই মান্ন শত শত কোটি টাকার হাতিয়ে নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। পি,এ হাফিজুর রহমান মান্না রাজধানীর অভিজাত এলাকায় ডুপ্রেক্স বাড়ি বিশাল সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন নামে বেনামে। এই পি,এ হাফিজুর রহমান মান্নাকে গ্রেফতারের দাবী করেছে নারায়ণগঞ্জের অনেকেই । মান্নাকে গ্রেফতার করলেই বেড়িয়ে আসবে নারায়ণগঞ্জের সকল অপরাধের ফিরিস্তি।”

একই সাথে এই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বদলী বাণিজ্যে মহাপটু ছিলেন এই পি,এ হাফিজুর রহমান মান্না। ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ার পরও সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দরে ওসি মোস্তফাকে বদলী করিয়ে মোটা অংকের অর্থও হাতিয়ে নেয় মান্না । যা গণমাধ্যম কর্মীদের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়েছে ।

শামিম ওসমান এর সরকারি পি,এ মান্না সে যেন দ্বিতৃীয় গডফাদার

এমন কুকর্ম নিয়ে যাতে কেউ কোন সংবাদ প্রকাশ করতে সাহস না করে সেই লক্ষ্যে শামীম ওসমানকে ফুসলিয়ে দৈনিক সোজাসাপটা পত্রিকার সমম্পাদক ও প্রকাশক আবু সাউদ মাসুদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় মামলা করেন তাঁর পি,এ হাফিজুর রহমান মান্না । আর ওই মামলার ড্রাফ তৈরীতে পি,এ মান্নাকে সহায়তা করে যুবলীগ নেতা এহসানুল হক নিপু এবং একজন বিশেষ পেশার নামধারী শামীম ওসমানের দালাল।

যা ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তুলে। নারায়ণগঞ্জের অপরাধ সাম্রাজ্যের সকল তথ্য উদঘাটন করতে এবং মান্নার এতো অর্থ বিত্তের উৎস্য জানতে পি,এ হাফিজুর রহমান মান্নাকে গ্রেফতার জরুরী বলেও নগরীজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।

বাংলাদেশ সময়: ১:৪৫:৩৯   ৪৭ বার পঠিত