মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট ২০২৪

সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু কথার কবর রচনা হোক : জামায়াত আমির

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু কথার কবর রচনা হোক : জামায়াত আমির
মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট ২০২৪



সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু কথার কবর রচনা হোক : জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, এ দেশের সকল নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে এবং সকল ধর্মের মানুষ আওয়াজ তুলে বলবে, আমরা এখানে সংখ্যাগুরুও নই, কেউ সংখ্যালঘুও নই। আমরা সকলেই সমান।

তিনি বলেন, আমি চাই এখানে (বাংলাদেশে) সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু কথাটির কবর রচনা হোক।

সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীতে মন্দির পরিদর্শন শেষে পূজা কমিটি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের পুরোহিত এবং নেতাদের সাথে মতবিনিময়‌ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্দির কমিটির সভাপতি বাবু তপনেন্দ্র নারায়ন হোড়ের সভাপতিত্বে ও বাবু হরিপদ দাস দোলনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি লস্কর মুহাম্মদ তাসলিম, হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাবু মনোজ সরকার, বাবু শিব শংকর সাহা, নিথীশ কুমার সাহা, ডাক্তার বিপ্লব সভায় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার।

জামায়াত আমির বলেন, আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা মানুষ, আমাদের দ্বিতীয় পরিচয় এদেশে আমাদের যাদের জন্ম হয়েছে আমরা সবাই বাংলাদেশি। একজন বাংলাদেশি নাগরিককে আমার দেশের সংবিধান যে অধিকার দিয়েছে সকল ধর্মের নাগরিক ইন্ডিভিজুয়াল (স্বতন্ত্র ব্যক্তি) নাগরিক সমানভাবে তা ভোগ করবে। আমরা তার কমবেশি দেখতে চাই না।

ডা. শফিক বলেন, আগে আপনি সোনার মানুষ হন তারপর আমার সোনার দেশ হয়ে যাবে। আমি সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে অনুরোধ করবো, আসুন আমরা পরস্পরকে ভাই এবং বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করি। তাহলে হিংসা এবং হানাহানি থাকবে না। আর কয়দিন পরপর এখানে এসে এসে পাহারা দিতে হবে না। আমার বিবেক আমাকে পাহারা দিবে।

তিনি আরও বলেন, কোনো ধর্ম কাউকে দুর্বৃত্ত হতে শেখায় না। হিংসা-প্রতিহিংসা শেখায় না, আমি তা বিশ্বাস করি না। এরকম যদি কেউ হয় তাহলে ধর্মই না। ধর্ম মানুষকে পরিশীলিত করে। ধর্ম মানুষকে মানুষ বানায়। মানুষকে পশু বানায় না। বরং পাশবিক চরিত্র যাদের আছে তাদেরকেও মনুষ্যত্বের দিকে নিয়ে আসে।

জামায়াত আমির বলেন, আসুন হাতে হাত মেলাই, দেখানোর জন্য না অন্তরে ধারণ করি। মুনাফিকের হাত নয় ভালো মানুষের হাত মেলাই, যেই হাত ভাঙবে কিন্তু ছুটবে না। লেগে থাকবে একে অন্যের সাথে। যদি কোনো দুঃখ আসে তাহলে সকলে মিলে এই দুঃখ বরণ করে নেবো, যদি কোনো সুখ আসে তাও ভাগাভাগি করে নেবো, সুখ-দুঃখের আমরা সমান অংশীদার হবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪০:০১   ২০ বার পঠিত