পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, তিন পার্বত্য জেলার জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে রাখা হয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন এ সরকার দেশের কোন বিশেষ এলাকার জনগণকে কোনোভাবেই পিছিয়ে রাখবে না।
আজ রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স ভবনের অডিটোরিয়ামে বান্দরবান পার্বত্য অঞ্চলের সরকারি বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা জানাতে এলে তাদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা ১৯৭১ সালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও সম্ভ্রম হারা মা-বোনসহ ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে স্বৈরাচারী সরকার পতনে শহীদ হওয়া সমস্ত বীর ছাত্র এবং নিরীহ মানুষদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি চাই, যারা সব জায়গায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় না, সেসব পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কিছু একটা করবো। আমরা বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে চাই-আর এজন্য দরকার সকলের সহযোগিতা।’
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা সকলকে আইন-শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, আমাদের ভয় নেই, পাশে বীর ছাত্র-জনতা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পাংখোয়া, মার্মা, খুমী, খেয়াং, বম, চাকমা, তঞ্চংগা, লুসাই, ত্রিপুরা, চাকমা সব সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে গুরুত্ব বিবেচনা করে তাদেরকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পিছনে রাখা হবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা দেশ বিদেশের কুটনীতিকদের কাছে একটি মডেল বাংলাদেশ পুননির্মাণে সহযোগিতা ও সমর্থন চেয়েছেন। আমরা সে লক্ষ্যে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করবো।’
তিনি বলেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য উপদেষ্টা বলেছেন, ‘দেশে ইন্টারনেট আর বন্ধ হবে না। ডিজিটাল যুগকে আমরা পছন্দ করি। যেদিন আমরা গ্লোবাল স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করবো সেদিনই আমরা বলতে পারবো আমরা ডিজিটাল যুগে আছি।’ আমরা গুড গভর্ন্যান্স গড়ে তুলবো। পার্বত্য তিন জেলা পরিষদগুলোকে পুনর্গঠন করা হবে।
আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার আগে প্রথমেই শিক্ষক নিয়োগে কঠোর হতে হবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম ও পার্বত্য চট্টগ্রামকে আধুনিক শিক্ষা নগরীতে গড়ে তোলা হবে। পার্বত্য অঞ্চলে কোনো প্রকার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। সব জায়গাতেই সংস্কার করা হবে। পার্বত্য এলাকায় খেলাধুলার আগ্রহ বাড়াতে সেখানে ফুটবল মাঠ তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, ইউএনডিপি’র কর্মকর্তা এ এ মং, রুমা উপজেলার লেলুং খুশী, থানচির ছাত্র প্রতিনিধি উকিংওয়ং মারমা, লামা উপজেলার মাং ইয়ং চাকমা-এর অংজাইঐই, বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য খুই সিং প্রু লুবু, বান্দরবান সদরের সুকান্ত ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৫:৩৬ ২৭ বার পঠিত