কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নদ-নদীর অববাহিকার চর ও নিম্নাঞ্চল। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ১৫ হাজার পরিবার।
এসব এলাকার সড়ক তলিয়ে থাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। চরাঞ্চলের অনেক ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, কুড়িগ্রামের তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলা পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে বিপৎসীমা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে দুধকুমারের পানি।
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের জালালের মোড়ে মহসিন আলী বলেন, ‘এ এলাকার একদিকে ধরলা আর অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র। দুই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আমাদের এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ঘর-বাড়িতে পানি না উঠলেও সড়ক তলিয়ে গেছে। এই এলাকার সব মানুষ চলাচলের দুর্ভোগে রয়েছি।’
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিযনের মুসার চরের মতিয়ার রহমান বলেন, ‘নদী ভাঙনের পর মুসার চরে বাড়ি করেছি। পাশের বালাডোবার চরেও গত নতুন বাড়ি করেছে। এই দুটি চর প্লাবিত হয়ে ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। আমরা এই দুই চরের প্রায় ৪০টি পরিবার উঁচু জায়গায় ও নৌকায় অবস্থান করে মানবেতর জীবনযাপন করছি।’
কুড়িগ্রাম পানি উন্নযন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় নদ-নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:২২:৫০ ২০ বার পঠিত