বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, পর্যটন খাতে পরিকল্পিত উন্নয়নে পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে। এতে সমগ্র বাংলাদেশকে ৮টি অঞ্চল ও ৫৩টি ক্লাস্টারে ভাগ করে ১ হাজার ৪৯৮টি পর্যটন সম্পদ চিহ্নিত করা হয়েছে। পর্যটন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০৪১ সালের মধ্যে এই খাতে ২ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য আলী আজমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, একইসঙ্গে ২০৪১ সালে দেশে ৫৫ লাখ ৭০ হাজার বিদেশি পর্যটক আগমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকারি দলের আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিমের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে ফারুক খান জানান, বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের অবদান প্রায় ৪ শতাংশ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রায় এক দশমিক ৭৮ শতাংশ। এ হার ক্রমাগত বাড়ছে। তিনি আরো জানান, সারাবিশে^ করোনা ভাইরাস সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পর্যটন খাত।
সেই সময়েও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি ও আনুতোষিক পরিশোধ করেছে। লাভের ধারা অব্যাহত রেখেছে। সংস্থাটি নিজস্ব আয়ে পরিচালিত সরকারের একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের মধ্যে নতুন নতুন পর্যটন আকর্ষণীয় স্পট চিহ্নিতকরণ ও এর উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে রাজধানী ঢাকাসহ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া, মেহেরপুরের মুজিবনগর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, সিলেট, কক্সবাজার, পটুয়াখালির কুয়াকাটা, পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবনসহ সারাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মাধ্যমে মোট ৫৩টি পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান (হোটেল,মোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ, এমিউজম্যান্ট পার্ক, বার, পিকনিক স্পট ও ডিউটি ফ্রিশপ) স্থাপন করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো সাফল্যের সাথে পরিচালনা করছে যা দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৭:০৬ ১৯ বার পঠিত