মেট্রোরেলের টিকিটে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বসবে কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। রোববার শেষ হয়েছে ভ্যাট মওকুফের সময়সীমা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রের ভাষ্য, নতুন সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আগামীকাল সোমবার নতুন অর্থবছরের প্রথম দিন থেকে ভ্যাট কার্যকর হবে। তবে মেট্রোরেলের নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সরকারি কোম্পানি ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, ভ্যাট আদায়ের নির্দেশনা এনবিআর দেয়নি।
১৫ শতাংশ ভ্যাট কার্যকর হলে মেট্রোরেলের ভাড়া বাড়বে; যা যাবে যাত্রীর পকেট থেকেই। রয়েছে জটিলতাও। মেট্রোরেলের বেশিরভাগ টিকিট ইস্যু হওয়ায় নগদ টাকার লেনদেন কম। ভাঙতি সুবিধার্থে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ এর গুণিতক হিসাবে। ভ্যাট আরোপ হলে ২০ টাকার ভাড়া হবে ২৩ টাকা, ৩০ টাকার ভাড়া হবে ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা, ১০০ টাকার ভাড়া হবে ১১৫ টাকা। ১০ এর গুণিতক নয়, এমন অঙ্কের ভাড়া ভেন্ডিং মেশিনে আদায়ের সুযোগ নেই। এ সুবিধা চালু করতে পুরো প্রক্রিয়া বদলাতে হবে। ১০ এর গুণিতক ঠিক রাখতে হলে ভাড়া বাড়বে।
ভ্যাট আইন অনুযায়ী, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গণপরিবহনের ভাড়ার ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। মেট্রোরেল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় এর ভাড়ায় ভ্যাট চায় এনবিআর। গত এপ্রিলে সংস্থাটি জানিয়ে দেয়, মেট্রোরেলের ভাড়ায় জুলাই থেকে ভ্যাট দিতে হবে। ভ্যাট প্রত্যাহারের জন্য ১৯ মে সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী আধা সরকারিপত্র (ডিও) দেন।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, আজ বিকেল পর্যন্ত ওই চিঠির জবাব আসেনি। সরকার আদায় করতে বললে, ডিএমটিসিএল ভ্যাট আদায় করে এনবিআরকে দেবে।
এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত না হওয়ার অর্থ ১ জুলাই থেকে ভ্যাট কার্যকর হবে।
গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাদীউজ্জামান বলেন, মেট্রোরেল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলেও তা বিলাসবহুল নয়। তাই মেট্রোরেলে ভ্যাট থাকা উচিত নয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৫:০২ ৪০ বার পঠিত