ইসরাইলি বাহিনী এবার উত্তর গাজার শুজাইয়া এলাকায় নতুন করে ভয়াবহ বিমান ও স্থল আগ্রাসন শুরু করেছে। হামাস এ হামলাকে ‘পূর্ণ-মাত্রার যুদ্ধপরাধ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, বৃহস্পতি ও শুক্রবার গাজা শহরের পূর্বে অবস্থিত শুজাইয়া আবাসিক এলাকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ৬১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। ভয়াবহ ওই হামলা চলতে থাকায় হতাহতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭ হাজার ৭৭৫ জনে ঠেকেছে। আহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ হাজার ৪২৯ জনে।
এদিকে এর আগে কয়েকবার শুজাইয়া এলাকাটি খালি করে সামরিক অভিযান চালানোর পর, বৃহস্পতিবার ফের ওই এলাকার অধিবাসীদের অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। এর ফলে বৃহস্পতিবার দিনভর হাজার হাজার অসহায় ফিলিস্তিনি তাদের সহায় সম্বল ত্যাগ করে অজানা গন্তব্যে পাড়ি জমিয়েছেন।
ফিলিস্তিনি রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, গাজায় এমন কোনো নিরাপদ আশ্রয় নেই, যেখানে গিয়ে এই মানুষগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিতে পারেন।
আল-জাজিরার এক সংবাদদাতা জানিয়েছেন, শত শত মানুষ যখন জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে আশ্রয় নেন, তখন সেখানেও হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা। এছাড়া একটি আবাসিক ভবনে হামলা চালানোর পর সেখান থেকে পলায়নরত বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আবার বিমান হামলা চালায় বর্বর সেনারা।
এদিকে শুজাইয়া এলাকার পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেছেন গাজার সিভিল ডিফেন্স কর্মী নূহ আশ-শারনুবি। তিনি বলেন, গত আট মাসে আকাশ ও স্থলপথে এত ভয়াবহ হামলা তিনি আর দেখেননি।
গাজার সাংবাদিক আলী আবু শানাব শুজাইয়ার পরিস্থিতিকে ‘ভয়ঙ্কর ও ভীতিকর’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, মানুষের যাওয়ার যেমন কোনো জায়গা নেই, তেমনি হামলা থেকে বাঁচতে মানুষ এক কাপড়ে তাদের আশ্রয়স্থল থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। সঙ্গে কিছুই নিয়ে যেতে পারেননি।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫৪:০৬ ১৮ বার পঠিত