সর্বগ্রাসী ক্ষুধা থেকে বের হয়ে শুদ্ধাচারী মনোভব পোষণ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার। তিনি বলেন, গণমাধ্যম এখন সৎমানুষকে বের করে আনছে। আমাদের সর্বগ্রাসী মনোভাব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সম্মানের থেকে কেন আমরা বিচ্যুত হচ্ছি।
শুধু নিজে সৎ থাকলে হবে না। আশপাশের সবাইকে সৎ রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলানগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৪-২৫ স্বাক্ষর ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার এসব কথা বলেন।
সত্যজিত কর্মকার বলেন, আমরা সর্বগ্রাসী হয়ে গেছি।
আমাদের চাই চাই, আরো লাগবে কেন? সরকার আমাদের কি দেয়নি, আমরা কেন নীতিবহির্ভূত কাজ করছি। এই দেশ তো আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে। সর্বগ্রাসী ক্ষুধা এমন পর্যায়ে গেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের শুদ্ধাচার পুরস্কার দিয়ে নিবৃত্ত করছেন। আমাদের সবাইকে সর্বগ্রাসী ক্ষুধা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এখানে আজ অনেকেই অনুপস্থিত। যা খুবই দুঃখজনক-এটা শুদ্ধাচারের পরিপন্থী। এটা সরকারের অন্যতম কর্মসূচি, অথচ অনেকে নেই। আমার মনে হয়, আয়োজকদের কারণে আজ অনেক চেয়ার ফাঁকা। আমাদের সময়ের প্রতি, দায়িত্বের প্রতি আরো যত্ববান হওয়া দরকার।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, অনাচার দিয়ে কোনো সমাজ চলতে পারে না। শুদ্ধাচারের বিপরীত শব্দ কি অনাচার। সামাজিক অনাচার দূর করে মানব সভ্যতা রচনা করাই কাজ। মানুষের কাজই হচ্ছে অনাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।
তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন বিলবোর্ডে জাতির পিতার কথা বলা আছে, সেই অনুসারে আমাদের চলতে হবে। মানুষকে সম্মান জানাতে হবে। শুদ্ধ হওয়ার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। জীবনের প্রতি পদক্ষেপ শুদ্ধাচার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। শুদ্ধাচার অর্জন করবার জন্য জাতির পিতাকে অনুসরণ করে জীবন পরিচালনা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৮:৩৪ ১৫ বার পঠিত