বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রেখে কীভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা যায়, সেই চিন্তা করছে সরকার। সব ধরনের কৃষি উৎপাদনে অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছি। এমন অবস্থায় বর্তমান অর্থমন্ত্রী কৃষিকে প্রাধান্য দিয়েই বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি: প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় জাতীয় বাজেট ২০২৪-২০২৫’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সারাদেশে এক কোটি পরিবারকে স্বল্প মূল্যে বেশকিছু পণ্য দেয়া হচ্ছে। যার খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। এই কার্যক্রম আরও বাড়ানো হচ্ছে। এলাকাভিত্তিক দোকানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যেখান থেকে সাধারণ মানুষ ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্যগুলো কিনতে পারবেন।
সাপ্লাই চেইনে আরও গবেষণার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। এখন সবাই সাধ্যমতো কোরবানি করছে। কথাগুলো কেউ বলে না। এগুলো বললে আমাদের নিয়ে সমালোচনা করা হয়। আজ শহরের অর্থনীতির চেয়ে গ্রামের অর্থনীতি বড় হচ্ছে। সাপ্লাই চেইনে আরও গবেষণা বাড়ালে গ্রাম থেকে শহরের ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যগুলো সহজে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজেট ঘোষণা হতে না হতেই অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। অর্থমন্ত্রী একটি বাজেট দিয়েছেন, সেখানে তার একটা টার্গেট আছে। তাকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও নিতে হয়। তাকে সেটি আগে করতে দিন। তার আগেই বলে ফেলেন বাজেট অবাস্তব, বাস্তবায়নযোগ্য নয়।
রিজার্ভ নিয়ে নেতিবাচক কথা বলা হয় উল্লেখ করে টিটু বলেন, এখনো তিন মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানোর রিজার্ভ আছে। শুধু শুধু নেতিবাচক কথা ছড়িয়ে কী লাভ?
আর এবারের বাজেটে সরকার বেশকিছু সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, মূল্যস্ফীতি কমানোর উদ্দেশ্যে সরকার এবার বাজেট কমিয়েছে। ঘাটতিও কমানো হয়েছে, যা খরচ কমানোর স্বার্থে করা হয়েছে বলে মনে হয়। সেজন্য বলছি, এটি একটি সাহসী বাজেট।
এই বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নয়ছয় সুদের হার উঠিয়ে নেয়ায় এতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। করপোরেট কর হার কমানো হয়েছে। উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি বা যন্ত্রপাতি আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে বাজেটের ইতিবাচক দিক হলো রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তবে ঋণ খেলাপি কীভাবে কমানো যায় তা সরকারকে চিন্তা করতে হবে বলে জানিয়েছেন শামসুল আলম। তিনি বলেন, ব্যাংক একীভূত করার যে উদ্যোগ তার ফলাফল অনিশ্চিত। অর্থমন্ত্রীকে কর আদায়ে জোর দিতে হবে। এজন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) শুধু মাত্র কর আদায়ে ব্যবহার করা দরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১০:৫১ ১৭ বার পঠিত