কোরবানির পশুর হাট টার্গেট করে গরু মোটাতাজাকরণ ওষুধ বিক্রি করতে মাঠে নেমেছে অসাধু চক্র। রাজধানীর মিটফোর্ড থেকে নিম্ন মানের কাঁচামাল সংগ্রহ করে পুরান ঢাকায় তৈরি হচ্ছিল নকল টনিক। চক্রটির ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শনিবার (১৫ জুন) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান সংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
গত বছর কোরবানির ঈদে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ পশু কোরবানি হয়েছে। এ বছর দেড় কোটি পশুর চাহিদা হতে পারে। গরু মোটাতাজা করে বিক্রি করা লাভজনক। তবে তা হতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত। কিন্তু একটি অসাধু চক্র প্রতি বছরই অল্প সময়ে অল্প পুঁজিতে গরু মোটাতাজাকরণের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ রকম একটি চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি।
মশিউর রহমান জানান, রাজধানীর ধোলাইরপাড়ে ভাড়া বাসায় তারা গরু মোটাতাজাকরণের নকল ওষুধ তৈরি করে বাজারজাত করছিলেন। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ।
ডিবির উপপুলিশ কমিশনার বলেন,
ইউরোপ- আমেরিকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে উচ্চ মানের গবাদি পশুর টনিক ওষুধ আমদানি করা হয়েছে এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে পশুর হাটে আসা ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করছিলেন তারা।
‘কিন্তু ইউরোপ নয়, এসব মোটাতাজাকরণের কাঁচামাল সংগ্রহ করা হয় মিটফোর্ট থেকে যা অত্যন্ত নিম্ন মানের’, যোগ করেন মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, বেশ কিছু অসাধু চক্র আছে, যারা সুযোগ বুঝে কখন কোন জিনিসের চাহিদা বেশি, সেটা দেখে এমন ভেজাল সামগ্রির কারখানা বানিয়ে ফেলে।
তিনি আরও জানান, গবাদি পশু কথা বলতে পারে না। তাই বলে সেগুলোকে এমন বিষ, ছাই, ভস্ম খাইয়ে মোটাতাজা বানানোটা অবশ্যই আইনগত গর্হিত অপরাধ। সেইসঙ্গে এই ধরনের ভেজাল ওষুধ সেবনে গবাদি পশু বিকলাঙ্গ হতে পারে, অসুস্থ হতে পারে।
তাই এসব ভেজাল ওষুধ কেনা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এ কর্মকর্তার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:০১:১১ ২৪ বার পঠিত