দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। তবে সম্প্রতি দুটি দেশই দ্বন্দ্ব নিরসনে আলোচনার আশ্রয় নিয়েছে। সর্বশেষ সোমবার (৫ জুন) চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে অংশ নেন দেশটির এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্ক এবং চীনের হয়ে অংশ নেন দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মা ঝাওজু।
ওয়াশিংটন এবং বেইজিং উভয়পক্ষই তাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি তারা যেকোনো বিষয়ে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার অঙ্গীকারও করেছেন। দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিশ্লেষকরা আশা প্রকাশ করেছেন, দুই দেশের এই যোগাযোগ বজায় রাখার অঙ্গীকার বিদ্যমান উত্তেজনা কমিয়ে শান্তি আনার ব্যাপারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা একটি আশাবাদ সৃষ্টি করেছে। তারা আরও বলেছে, ‘দুই পক্ষই চীন-মার্কিন সম্পর্ক বাড়ানোর পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে পার্থক্য কমানো এবং যেকোনো সমস্যা সমাধানের বিষয়ে অকপট, গঠনমূলক এবং ফলপ্রসূ আলোচনা করেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতেও আলোচনাকে ফলপ্রসূ এবং স্বতঃস্ফূর্ত হলে আখ্যা দেয়া হয়েছে। তারা বলেছে, উভয়পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনার জন্য উন্মুক্ত যোগাযোগ চ্যানেল বজায় রাখার কথা দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রতিই ইঙ্গিত করে।
বৈঠক শেষে ক্রিটেনব্রিঙ্ক বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নিজেদের সামর্থ্য অনুসারে সম্পর্ক এগিয়ে ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বৈঠকের বিষয়ে এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ তাইওয়ান প্রণালিতে বিদ্যমান সংকটকে নির্দেশ করে বলেছে, ‘উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আন্তঃপ্রণালী সমস্যা, যোগাযোগের চ্যানেল বজায় রাখা এবং অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় করেছে।’ তবে মার্কিন কর্মকর্তারা এটিও পরিষ্কার করেছেন যে, নিজের জাতীয় স্বার্থ এবং মূল্যবোধেরে প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই নিজের শক্তি প্রদর্শন করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:২২:০৪ ৫২ বার পঠিত