ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার ৩৬ ঘণ্টা হলেও সারা দেশে ২৭ হাজার মোবাইল টাওয়ার এখনো অচল। অপারেটররা বলছে, বিদ্যুৎ ও জেনারেটর দিয়ে গতরাত (সোমবার) থেকে আজ সকাল পর্যন্ত সচল হয়েছে মাত্র ৩ হাজার টাওয়ার। তবে বিকেল নাগাদ দুর্গত এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
অনেক জায়গাতেই কল দিলে যাচ্ছে না; ফোনের ডিসপ্লেতে ভাসছে ‘নো নেটওয়ার্ক’। শুধু কথা বলায় নয়; জরুরি প্রয়োজনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে স্বজনদের পাঠানো যাচ্ছে না কোন টাকাও। ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার পর সোমবার (২৭ মে) সারা দেশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে ২৬ হাজারের বেশি মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে পড়ায় গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে ওঠে।
তারা জানান, মোবাইলে নেটওয়ার্ক না থাকায় কারও সঙ্গে কথা বলা যাচ্ছে না; আর্থিক লেনদেনও ব্যাহত হচ্ছে।
তবে পরিস্থিতির তেমন কোন উন্নতি নেই। অপারেটররা বলছেন, বর্তমানে ৩০ হাজার টাওয়ারে নেই কোন বিদ্যুৎ সংযোগ। যদিও জেনারেটর দিয়ে এরই মধ্যে সচল করা হয়েছে ৩ হাজার টাওয়ার।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সবশেষ তথ্য বলছে, রাঙ্গামাটি, মেহেরপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, বরিশাল ও বরগুনায় অচল রয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ সাইট। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম ভোগান্তিতে আছেন গ্রাহকরা।
আর ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতারা বলছেন, কাটাপড়া ফাইবার মেরামত এবং বিদ্যুৎসংযোগ পাওয়ায়, ২২৫টি পপের মধ্যে সচল করা গেছে মাত্র ২৫টি।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেল নাগাদ দুর্গত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশা করছেন সেবাদাতারা।
এদিকে, মোবাইল টাওয়ারে দ্রুত বিদ্যুৎসংযোগ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করেছে বিটিআরসি।
বাংলাদেশ সময়: ১২:২৮:৫৫ ৩৭ বার পঠিত