হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান। এ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও অবশেষে মুখ খুলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
রাইসি ও তার সঙ্গীদের মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়েছে ওয়াশিংটন। অবশ্য রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হাত নেই বলে জানান দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। এছাড়া এ দুর্ঘটনার কোনো কারণও জানা নেই বলে জানান তিনি।
গত শনিবার (১৮ মে) আজারবাইজান সফরে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। রোববার (১৯ মে) দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে তিনি দুদেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করেছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।
পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে রাইসিকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। এতে রাইসিসহ ওই হেলিকপ্টারের সব যাত্রী নিহত হন। অবশ্য অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম রাইসি ও আমিরাব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
যদিও রাইসিকে বহনকারী যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের কারণ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য জানায়নি ইরান। তবে এ নিয়ে তেহরান ওয়াশিংটনকে দোষারোপ করতে পারে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ কিনা -এমন প্রশ্ন করা হয় মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবকে।
এর জবাবে লয়েড অস্টিন বলেন,
এ দুর্ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হাত নেই।
অস্টিন বলেন,
কী কারণে দুর্ঘটনা হতে পারে সে বিষয়ে আমি কিছু অনুমানও করতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন,
আমি এই মুহুর্তে আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর কোনো বড় ধরনের প্রভাব দেখতে পাচ্ছি না।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি ওয়াশিংটন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেশটির জনগণের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার পক্ষে লড়াইকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি।
সূত্র: রয়টার্স
বাংলাদেশ সময়: ১২:৫০:১২ ১২ বার পঠিত