বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

সেবা দিতে সময় বেঁধে দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়!

প্রথম পাতা » অর্থনীতি » সেবা দিতে সময় বেঁধে দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়!
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪



সেবা দিতে সময় বেঁধে দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়!

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, মন্ত্রণালয় থেকে যত সেবা দেয়া হয় সব সেবা একটা রিটেন ফ্লো চার্টের মধ্যে দেয়া হবে। যেখানে সেবা দেয়ার সময় এবং প্রক্রিয়া উল্লেখ থাকবে। কোন প্রক্রিয়া কত সময়ের মধ্যে দেয়া হবে, সেটাও করে ফেলা হবে। এটা করতে পারলে পুরো সেবাটাই ই-গভর্ননেন্সে পরিপূর্ণ রূপ দেয়া হবে।

বুধবার (১৫ মে) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ইনোভেশন শো-কেসিং উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছর শুরু হবে এক মাসের মধ্যে। জুনে বাজেট শুরু হবে। আমি কয়েকটি কাজ করতে অনুরোধ করবো আপনাদের। আমরা যে সেবা প্রদান করি সেই প্রক্রিয়াটাকে ডিজিটালাইজ করা। আমাদের ডিজিটালাইজেশনের ধারণাটা পরিষ্কার না। কোনো সেবা প্রদান করার প্রক্রিয়া যদি লিপিবদ্ধ না থাকে আমরা ইংরেজিতে বলি (বিজনেস রুলস স্পেসিফিকেশন)। এটা ‌যে কোনো অটোমোশন বা ই-গভর্নেন্স-র পূর্বশর্ত। যে সেবাটি আপনি দেবেন সেটা ফ্লো-চার্টের মতো সাজানো থাকা উচিত।

আগামী অর্থবছরে সেবাদান প্রক্রিয়া লিপিবদ্ধ করে ফেলা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রথম উদ্ভাবনী হওয়া উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, এগুলো যার যার বিভাগে যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার কাছ থেকে অনুমোদন নেয়া। খুব সহজ; আমি কি সেবা দিচ্ছি এবং সেবাটা কী প্রক্রিয়ায় দেব। স্টেপ বাই স্টেপ লিপিবদ্ধ থাকবে। আগামী বছর আমাদের উদ্ভাবন পরিকল্পনা একটা অন্যতম অনুষঙ্গ হবে এটা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন আর আরজিসিতে একটা কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করতে কাউকে আমাদের অফিসে আসতে হয় না। দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকবে সেখানে বসেই কিন্তু একটা কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব। আমাদের আইআরসি, এক্সপার্ট পারমিশন, ইমপোর্ট পারমিশন কিন্তু অনলাইনে সেবা দানের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। যেখানে আমাদের সমস্যাটা সমাধান করতে হবে সেটা হলো জিনিসটাকে একই লাইনে আনতে হবে। একটা প্রক্রিয়া অটোমেট করলেন আরেকটা করলেন না তাহলে তো হবে না। এই জায়গাগুলোতে উদ্ভাবনী প্রক্রিয়াগুলো চিন্তা করি এবং সেটাকে আমরা ডিজিটালাইজ করার চেষ্টা করি।

প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন উল্লেখ করে টিটু বলেন, আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী চারটি পিলারের ওপর স্মার্ট বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়েছেন। প্রথমত স্মার্ট সিটিজেন, তাদের নিয়েই আমাদের সব কর্মপরিকল্পনা। কোন সিস্টেম ডিজিটাল করলাম কিন্তু পেমেন্ট মেথড ডিজিটাল করলাম না তাহলে কিন্তু পরিকল্পনাটা সু-সম্পূর্ণ হলো না। আপনি সেবা দিচ্ছেন কিন্তু পেমেন্টটা কীভাবে নিচ্ছেন সেটাও কিন্তু ভাবতে হবে। এটাকে ডিজিটালাইজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকটা জিনিসের কর্মপরিকল্পনা লিপিবদ্ধ করে ডিজিটালাইজ এবং সম্পূর্ণ করতে পারলেই আমাদের সার্থকতা। আমরা বাংলা এবং ইংরেজি একেবারে গুলিয়ে ফেলছি। হয় পুরোটা ইংরেজিতে বলি অথবা পুরোটা বাংলায় বলি। আমার মনে হয় ইংরেজি যা লিখি সেটা ইংরেজি লেটার দিয়ে লিখলে ভালো হয়। আমাদের এই প্রাকটিসটা শুরু করা উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৯:১৭   ২২ বার পঠিত