ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, সংযম, ত্যাগ ও সহমর্মিতার মনোবৃত্তিসম্পন্ন মানুষই প্রকৃত মানুষ।
আজ সন্ধ্যায় ঢাকা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ যুব সমিতি ঢাকার ঈদ পুনর্মিলনী ও হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় ও সামাজিক গুরুত্ব বিবেচনায় ঈদের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। মুসলিম মিল্লাতের সাম্য, ঐক্য ও সৌহার্দ্যের স্বাক্ষর বহন করে ঈদ। ঈদের এই শিক্ষা ও তাৎপর্যকে মনেপ্রাণে ধারণ ও লালন করতে হবে। গরীব-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোকে এগিয়ে নিতে হবে।
ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন অন্তর্ভুক্তমূলক উন্নয়ন। সমাজের সকল মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। এ কারণে সরকার দেশের অনগ্রসর মানুষের কল্যাণে নানামুখী উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। আশ্রয়ণ কর্মসূচির মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। তিনি সামাজিক সংগঠন হিসেবে বৃহত্তর ময়মনসিংহ যুব সমিতি ঢাকাকে সমাজের অনগ্রসর মানুষের প্রতি সহযোগিতা ও সহমর্মীতার হাত বাড়ানোর অনুরোধ জানান।
হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় এদেশের হাফেজদের সাফল্য তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের কুরআনের হাফেজগণ প্রতিবছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন পুরস্কারে ভুষিত হচ্ছে। এর ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। বিগত দেড় দশকে আমাদের দেশ থেকে ৫৭ জন হাফেজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ১ম, ২য়, কিংবা ৩য় স্থান অর্জন করেছে। আমরা যতবেশি হাফেজ তৈরি করতে পারবো, বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি ততবেশি উজ্জ্বল হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর কমিশনার ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ যুব সমিতি ঢাকার সভাপতি ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকীর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে সাবেক সচিব ইব্রাহিম হোসেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী, সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা শিউলি আজাদ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এমডি মনসুর আলম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৩:৪৩ ১৬ বার পঠিত