শনিবার, ৪ মে ২০২৪

অপসাংবাদিকতা, সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » অপসাংবাদিকতা, সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
শনিবার, ৪ মে ২০২৪



অপসাংবাদিকতা, সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অপসাংবাদিকতা মূল সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে কাজ চলছে। সরকার গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিতে কাজ করছে। এছাড়া পরিবেশ সাংবাদিকতায় প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে গণমাধ্যমের মধ্যে শৃঙ্খলা আনা দরকার। আপনারাও (সাংবাদিক) বলেন, সাংবাদিকদের ন্যূনতম যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে। সাংবাদিকসহ সব স্তরে সবার দাবি যেহেতু একই রকম, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এ দাবিগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করে সে জায়গায় কাজ করব।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন,

অপসাংবাদিকতার চর্চা মূল সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমগুলোর অনলাইনের লিস্ট, অনলাইন পোর্টালগুলোর লিস্ট আমি চেয়েছি। এর বাইরে আরও অনেক নিবন্ধনহীন গণমাধ্যম আছে। সবার দাবি, এগুলো বন্ধ করা। এপ্লিকেশন করা থাকলে চালু থাকবে। না হলে বন্ধ। সাংবাদিকদের দাবির প্রেক্ষতে এসব পদক্ষেপ নিচ্ছি।

তিনি বলেন, ‘১৭ কোটি মানুষের এ দেশে বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় ঘটে। সরকারের অগোচরে অনেক ঘটনা ঘটে। শুধু পরিবেশ সুরক্ষা নয়, মুক্ত গণমাধ্যেমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিতেও সরকার কাজ করছে।’

মফস্বলের সাংবাদিকতা কঠিন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্যের সঙ্গে অনেক সময় অপতথ্যের মিশ্রণ ঘটে। তাই সেখানে সুরক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা আমরা করব।’

‘গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে কাজ করছি। প্রতিটি সংগঠন থেকে দুইজন প্রতিনিধির সঙ্গে বসে দ্রুততম সময়ে আইনটি সংসদে উত্থাপন করে পাস করার চেষ্টা করব’, যোগ করেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

প্রতিমন্ত্রী বলেন,

বাংলাদেশে গণমাধ্যম মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। তাই বর্ডার লাইন টানা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীরা আমাদের বন্ধু। তারা এড্রেস করে দেন। আমরা কাজ করতে পারি। সব সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। উদ্দেশ্যমূলকভাবে ক্যাম্পেইনের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাই।

‘আমরা মনে করি না সরকার যারা পরিচালনা করছে তারা সবাই ফেরেশতা। গণমাধ্যম ধরিয়ে দিলে আমরা শুধরে নিতে পারি। তবে অনেক ক্ষেত্রেই মোটিভেটেড সাংবাদিকতা হয়। ক্ষতি হয় পেশাদার সাংবাদিকতার’, যোগ করেন তিনি।

তিনি উল্লেখ করেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) মামলা করলেই জেলে নেয়া হতো। এখন সেটি নেই। সিএসএতে অপসাংবাদিকয়ায় কেউ যদি ভুক্তভোগী হয়, তারও সহায়তা চাওয়ার অধিকার আছে। পেশাদার সাংবাদিকতার সুরক্ষা দেয়ার জন্য আইন করা হয়েছে। অপব্যবহার হলে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান থাকবে।’

তিনি আরও বলেন,

রাইট টু ইনফরমেশন এক্ট প্রয়োজনীয়। কীভাবে আরও এফেক্টিভলি ইউজ করতে পারি সে ব্যাপারে কাজ চলছে। গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে কোনো তথ্য চাইলে তা দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকবে। এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।

‘পরিবেশ-প্রতিবেশকে সুরক্ষা দিয়ে উন্নয়ন করতে হবে ব্যালেন্স করে। যেমন পদ্মাসেতু শুধু পারাপার হতে নয়, দারিদ্র্য বিমোচনেও কাজ করছে। পরিবেশ রক্ষায় যারা কাজ করবে তারা আমদের বন্ধু। পরিবেশ সাংবাদিকতায় প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে’, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের স্ট্রাটেজি উন্মুক্ত হয়ে গেলে সেটা সমস্যার। আমরা আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড বজার রাখব, বিশ্বের অন্যান্য বাংকগুলো কীভাবে সেসব মেইন্টেইন করে। আমরা তাদের আইনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করব।’

বাংলাদেশ সময়: ১৪:৪৬:২৪   ৪৪৪ বার পঠিত