শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

সুদানে সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও সংঘাত তৃতীয় সপ্তাহে গড়াল

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » সুদানে সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও সংঘাত তৃতীয় সপ্তাহে গড়াল
শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩



সুদানে সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও সংঘাত তৃতীয় সপ্তাহে গড়াল

সুদানে সামরিক বাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘাত তৃতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে।
যুদ্ধে লিপ্ত দু’পক্ষকে বার বার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে শান্তি সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে আসছে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাাতিক সম্প্রদায়। কিন্তু উভয় পক্ষে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও সংঘাত অব্যাহত আছে।
শনিবারও উভয়পক্ষে তুমুল লড়াই চলেছে। খার্তুমের ওপর যুদ্ধ বিমান থেকে বোমা হামলা এবং বিমান বিধ্বংসী কামান ছুঁড়তে দেখা গেছে।
সেনা প্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল বুরহানের অনুগত বাহিনী এবং জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতির বাহিনীর মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল থেকে এ সংঘাত চলছে। হামদান দাগালো সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
সংঘাত শুরুর পর থেকেই উভয়ে একাধিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন। কিন্ত যুদ্ধবিরতিকে কেউ কার্যকরভাবে গ্রহণ করেনি। যুদ্ধবিরতি লংঘনের জন্যে এক পক্ষ অপর পক্ষকে দায়ী করছে।
এদিকে হেমেদতি বলেছেন, তাঁর সেনাদের ওপর বোমা হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোন আলোচনায় বসবেন না।
তিনি শুক্রবার বিবিসি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তৃতীয় দফায় তিন দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পরেও তার সেনাদের ওপর অবিরাম বোমা হামলা হচ্ছে। তিনি চলমান সহিংসতার জন্য সেনাপ্রধান জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ আল বুরহানকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সুদানকে ধ্বংস করতে চাই না।’
সুদানের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের ঘনিষ্ঠদের সরকারি চাকরিতে সুযোগ দেওয়ার জন্য বুরহানকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যায়িত করেছেন তিনি। ২০১৯ সালে বশিরের নেতৃত্বাধীন ইসলামপন্থী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফ এতে নেতৃত্ব দিয়েছিল। এর মূল নেতৃত্বে ছিলেন জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ আল বুরহান এবং জেনারেল হেমেদি উভয়েই।
এদিকে সংঘাত শুরুর পর থেকে খার্তুমের ৫০ লাখ লোক দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছে। আতংকিত লোকজনকে খাদ্য ও পানীয়ের অভাবে দিন কাটাতে হচ্ছে। এছাড়া তারা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে।
যুদ্ধ সাময়িকভাবে বন্ধ হলেই কেউ কেউ নিতান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জন্যে ঘরের বাইরে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৫১২ জন নিহত, ৪,১৯৩ জন আহত হয়েছে। বাড়িঘর ছেড়েছে প্রায় ৭৫ হাজার লোক।
বিভিন্ন দেশ তাদের লোকজনকে সরিয়ে নিয়েছে।
জাতিসংঘ বলেছে, দারফুর থেকে তারা সর্বশেষ আন্তর্জাতিক স্টাফদেরে সরিয়ে নিয়েছে।
বিশ^ খাদ্য কর্মসূচি বলেছে, এই সংঘাত লাখ লাখ লোককে ক্ষুধার ঝুঁকির মুখে ফেলবে। ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় দেশটির দেড়কোটি লোকের এক তৃতীয়াংশের সহায়তা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৭:৩৪   ৬৪ বার পঠিত