কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনার চতুর্থ দিনে নিখোঁজ এক শিশুসহ নিখোঁজ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে নিখোঁজ ৮ জনেরই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার ব্যক্তিদের পরিচয়: পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা, বেলন দে ও শিশু রাসুল।
রোববার (২৪ মার্চ) সকালে ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিওটিএ) ডুবুরি দল তৃতীয় দিনের অভিযানে মেঘনার তীরবর্তী পুলতাকান্দা এলাকা ও রেলসেতু এলাকা থেকে এক শিশু ও দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। তখনও নিখোঁজ থাকে সোহেল রানা, বেলন দে ও রাসুল। সোমবার সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধারের মধ্য দিয়ে নিখোঁজ ৮ জনেরই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভৈরব-আশুগঞ্জ নৌবন্দরের উপপরিচালক মো. রেজাউল করিম জানান, উদ্ধারকারী নৌযান প্রত্যয়ের কমান্ডার উবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি ডুবুরি দল উদ্ধার চালিয়ে নিখোঁজ আটজনেরই মরদেহ উদ্ধার করেছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেঘনা নদীর রেলসেতু এলাকা থেকে নৌকা নিয়ে ভ্রমণে বের হন ২১ জন যাত্রী। কিছুদূর যেতেই এক যাত্রীর অনুরোধে মাঝি হাল ছেড়ে ছবি তুলতে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুবাহী বাল্কহেড নৌকাকে ধাক্কা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় কয়েকজন সাঁতরে তীরে ওঠেন। পরে খবর পেয়ে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের স্পিড বোটে এসে এক নারীর মরদেহসহ আটজনকে উদ্ধার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৭:২২ ২১ বার পঠিত