শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শোনে সেবা দিতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শোনে সেবা দিতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪



ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শোনে সেবা দিতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান বিশ্বের কোনো দেশের চিকিৎসকদের তুলনায় কম নয়। ভুটান থেকে রোগী এসে বাংলাদেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভারত থেকেও অসংখ্য রোগী বাংলাদেশে আসছেন।

শনিবার (৯ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এমডি-এমএস ফেইজে ভর্তি হওয়া রেসিডেন্টদের ইনডাকশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।

বাংলাদেশের চিকিৎসকদের যে ভালো মেধা আছে, তার অসংখ্য প্রমাণ আছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘হাঙ্গেরি থেকে চিকিৎসক এনে আমরা জোড়া শিশুর অপারেশন করেছি। বাচ্চাদের যখন অ্যানেসথেসিয়া দেয়া হয়, তখন হাঙ্গেরির চিকিৎসকরা কিন্তু পারেনি, পেরেছে বাংলাদেশের চিকিৎসকরাই। কাজেই আমি বিশ্বাস করি আমাদের চিকিৎসকরা কোনো দেশের তুলনায় কম নয়।’

তিনি বলেন, আজ যারা ইনডাকশনে রেসিডেন্ট হিসেবে বসে আছেন, তারা আগামী দিনের চিকিৎসাসেবার কান্ডারি। ডাক্তার ও রোগীদের ভালো সম্পর্ক অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। শুধু ডাক্তাদের ওপর নির্ভর করে না। একটি হাসপাতালে ভালো কাজ একজন পরিচালক থেকে শুরু করে একজন অধ্যাপক, নার্স, ওয়ার্ডবয়, পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ওপর নির্ভর করে। সবার সমন্বিত প্রয়াসেই চিকিৎসাসেবার সুনাম বৃদ্ধি করে।

নবীন চিকিৎসকদের উদ্দেশে সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আজ যারা এখানে বসে আছেন, আমি সবিনয়ে তাদের কাছে একটা কথা বলব। আসুন আমরা চিকিৎসকদের মান-সম্মান এমন এক জায়গায় নিয়ে যাই, যেন এ দেশের মানুষ একদিন চিকিৎসকদের দেখলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে যায়। এটি করতে হলে আমাদের একটু ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শুনে চিকিৎসা দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা উন্নত করা সেটি আমাদের দিয়ে সম্ভব। আমাদের মনে রাখতে হবে ঢাকায় সবকিছু না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সময়মতো হাসপাতালে যাব আসব। সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেব। আমাদের সাধারণ মানুষ কিন্তু খুব বেশি কিছু চায় না, শুধু একটু গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা, সুন্দর করে একটু কুশলাদি বিনিময় করলেই তারা কিন্তু খুশি হয়।’

তিনি বলেন, রোগ থেকে মুক্তি পেতে অসহায়ের মতো রোগীরা চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করে। অনেক ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসককে পিতার স্থান দখল করতে হয়। চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীদের সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারে। এতে রোগীর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় ও ভালো চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৯:০০   ১৮ বার পঠিত