কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ২৪তম ধাপে নোয়াখালীর ভাসানচরে গেল ১ হাজার ২৫১ রোহিঙ্গা। এর মধ্যে ভাসানচর থেকে বেড়াতে যাওয়া ১১০ জন রয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুর ৩টার দিকে নৌবাহিনীর চারটি জাহাজে তারা চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রোহিঙ্গাদের প্রথমে উখিয়া কলেজ মাঠে নিয়ে আসা হয়। এরপর শুক্রবার দুপুরের দিকে তাদের চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। সেখান থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে তারা ভাসানচর পৌঁছান। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণকেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৬ হাজারে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলম ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘নতুন রোহিঙ্গাদের নৌবাহিনীর বানৌজা তিমি, বানৌজা টুনা, বানৌজা ডলফিন ও বানৌজা পেঙ্গুইন জাহাজে করে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। এরপর নৌবাহিনীর পল্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করা হয়।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসান চর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছিল। পরে বিভিন্ন ধাপে ৩৬ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়।
আগত রোহিঙ্গাদের বিবরণ:
বানৌজা তিমি: মোট ৩২১ জন
পুরুষ: ৬৯
নারী: ৮৮
শিশু: ১৬৪
বানৌজা টুনা: মোট ৩০১জন।
নতুন রোহিঙ্গা: ১৯১
পুরুষ: ৪৪
নারী: ৫৫
শিশু: ৯২
পুরাতন রোহিঙ্গা: ১১০
পুরুষ: ৬৭
নারী: ২২
শিশু: ২১
মোট রোহিঙ্গা: ৩০১
পুরুষ: ১১১
নারী: ৭৭
শিশু: ১১৩
বানৌজা ডলফিন: মোট ৩১৬ জন।
পুরুষ: ৭০
নারী: ৭৮
শিশু: ১৬৮
বানৌজা পেঙ্গুইন: মোট ৩১৩ জন।
পুরুষ: ৭২
নারী: ৮৭
শিশু: ১৫৪
বাংলাদেশ সময়: ১০:৩৫:২২ ২৭ বার পঠিত