রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ১ মার্চ ‘জাতীয় বীমা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্তৃক ‘জাতীয় বীমা দিবস ২০২৪’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে আমি বীমা প্রতিষ্ঠান, গ্রাহক সাধারণসহ বীমাশিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে আঞ্চলিক প্রধান হিসেবে যোগদান করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে প্রতিবছর ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস পালন করা হয়, যা বীমাশিল্পের উন্নয়নেও সহায়ক ভূমিকা রাখছে। সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন ছিলো মহান স্বাধীনতার অন্যতম লক্ষ্য। সদ্যস্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের সুবিধার্থে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সকল বীমা কোম্পানিকে রাষ্ট্রায়ত্ব করেন এবং পরবর্তীতে ২টি কর্পোরেশনে একীভূত করেন। বর্তমানে ২টি সরকারি কর্পোরেশনসহ ৩৬টি লাইফ ও ৪৬টি ননলাইফ বীমাকারী প্রতিষ্ঠান জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের আর্থিক নিরাপত্তা সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। আমি আশা করি, সরকারের নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণের ফলে বীমার ওপর মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
মানুষের সম্পদ ও জীবনের ঝুঁকির বিপরীতে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি সঞ্চয় সৃষ্টি ও বিনিয়োগে বীমাশিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বীমাশিল্পের আধুনিকায়ন অত্যন্ত জরুরি। বীমাশিল্পের উন্নয়নে সঠিক কর্মপরিকল্পনা, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, সকল শ্রেণির মানুষের জন্য নতুন নতুন বীমা পরিকল্পনা চালুকরণ, দ্রুত বীমা দাবি পরিশোধ, পেশাদারিত্ব ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে গ্রাহককে উন্নত সেবা প্রদানে বীমা সংশ্লিষ্ট সকলে অধিকতর উদ্যোগী হবেন-এটাই সকলের কাম্য।
আমি ‘জাতীয় বীমা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১০:৪৩ ২৪ বার পঠিত