সোমবার, ২৯ মে ২০২৩

লক্ষ্মীপুরে সীমা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

প্রথম পাতা » চট্রগ্রাম » লক্ষ্মীপুরে সীমা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
সোমবার, ২৯ মে ২০২৩



লক্ষ্মীপুরে সীমা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে স্কুলছাত্রী স্মৃতি নাথ সীমা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাশেদকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১। রায় ঘোষণার ১০ বছর পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাকে শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে নাম-পরিচয় পাল্টে সেখানে আত্মগোপনে ছিল।

শনিবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে র‌্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাশেদ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে তালিবপুর এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে। ভিকটিম সীমা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

র‍্যাব জানায়, হত্যাকাণ্ডের পরপরই আসামি গ্রেফতার এড়াতে বিদেশসহ শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানা এলাকায় গিয়ে গা ঢাকা দেয়। সেখানে মাসুদ আলম পরিচয়ে বসবাস করছিল। গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ১০ বছর সে পলাতক ছিল। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (২৭ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে তাকে শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সীমা হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ১৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন। পরে বিচারিক আদালতে দেয়া ১০ জনের মধ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। বাকী দুজনের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: হিরণ, নুর নবী, নুর আলম, হেদায়েত উল্যা হেদু, সাদ্দাম, সুমন, রাশেদ ও মানিক। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন আনোয়ার ও সোহেলের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৮ জুলাই রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষ্ণ লাল দেবনাথের বাড়িতে একদল ডাকাত ঢুকে পড়ে। এ সময় ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। পরে ঘরের একটি কক্ষে স্কুলছাত্রী সীমাকে ধর্ষণ করে বাড়ি থেকে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় সীমাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরদিন সীমার দাদা কৃষ্ণলাল দেবনাথ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটি মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৩ সালের ২৫ মে এ মামলায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানির পর ২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন। গ্রেফতার রাশেদকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৪৭:১৬   ৪৬ বার পঠিত