সংসদ ভবন, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মপ্রত্যয় ও সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে কাঙ্খিত স্মাট ও উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। সেই লক্ষ্যের দিকেই বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় সংসদে আজ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা এসব কথা বলেন। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। জাতীয় সংসদের সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন প্রস্তাবটি সমর্থন করেন।
সংসদ সদস্যরা বলেন, সব কিছুর জন্য একটা যোগ্য নেতৃত্ব দরকার, আর বাংলাদেশের বর্তমান যত উন্নয়ন, যত অর্জন, তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে এখন তারই মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের দৃশ্যপট বদলে গেছে। বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়ন, সামাজিক সুরক্ষা, দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষা, স্ব্স্থ্যাসহ তাঁর নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি সেক্টরের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০৪টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১২৪টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী তীর সংরক্ষণের ফলে নদী ভাঙ্গন ৯ হাজার ৫শ’ হেক্টর থেকে ৩ হাজার ৫শ’ হেক্টরে নেমে এসেছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন বলেন, কার্যকর স্থানীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করতে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের জামানত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানান। তিনি দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সরকারি দলের সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার বলেন, বিএনপির আসল উদ্দেশ্য কি, তা দেশের মানুষ জেনে গেছেন। নির্বাচন আসলেই তারা দেশ ও গণতন্ত্রবিরোধী নানামুখী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। তাদের কর্মীরাও আজ জেনে গেছে। বিএনপি ‘রেইনবো ন্যাশন’ এর নামে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে দেশে রাজাকার ও সন্ত্রাসীদের রাজত্ব কায়েম করতে চায়।
সরকারি দলের সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুরদর্শী নেতৃত্বে মাথাপিছু জিডিপি পৌঁছেছিল সর্বকালের সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৬ শতাংশে। তাঁর সময় দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ২৭৮ মার্কিন ডলার। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের অর্থনীতি মুখ থুবরে পড়ে। জাতির জনককে সপরিবারে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার পর তাঁর সুচিত গণমুখী অর্থনৈতিক অগ্রগতির অপ্রতিরোধ্য ধারা অকস্মাৎ রুদ্ধ হয়ে যায়। দেশের জিডিপি থেকে শুরু করে মাথাপিছু আয় সর্বনি¤œ পর্যায়ে নেমে আসে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যা হয়েছে, শুধু উন্নয়ন শব্দ দিয়ে তাঁর এই কাজকে সীমাবদ্ধ করা যায় না।
আলোচনায় আরও অংশ নেন সরকারি দলের সদস্য আবু জাহির, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নুরুজ্জামান আহমেদ, আশেক উল্লাহ রফিক, চয়ন ইসলাম, অনুপম শাহজাহান জয়, আব্দুল মমিন মন্ডল ও মাহমুদ হাসান।
সংসদ সদস্যরা শিক্ষা, বিদ্যুৎ, কৃষি, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনীতি ও খাদ্য উৎপাদন খাতসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে বর্তমান সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন।
এরআগে তারা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের জন্য তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৭:৩০ ৩৫ বার পঠিত