ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট ক্যাবল শিল্প গড়ে তুলতে হবে। স্মার্ট ক্যাবল শিল্পের জন্য স্মার্ট সম্পদ ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। এই লক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোাগাযোগ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেডকে স্মার্ট বাংলাদেশ যুগের উপযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আয় বৃদ্ধি এবং অপচয় কমিয়ে আয় ব্যয়ে দুয়ের ভারসাম্য রেখে সংশ্লিষ্টদের প্রতিষ্ঠানটিকে অধিক লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেড পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেডকে গর্বিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠায় অপারেশন, ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং, বিক্রয় ব্যবস্থাপনা এসব জায়গাসমূহে উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে খুলনায় বাণিজ্যিকভাবে এই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও দেশে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের বীজ বপন করেছিলেন।
১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়ে দেশে কম্পিউটার, ইন্টারনেট প্রযুক্তি বিকাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুগোপযোগী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর রোপণ করা বীজকে চারা গাছে রূপান্তরিত করেন। আর্কিটেক্ট অভ্ ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয় এর পরিকল্পনায় ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিক জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এর আগে সাতক্ষীরা টেলিফোন এক্সচেঞ্জে ভবনে বিটিসিএল এর উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ইন্টারনেট জিপন ৩০৭২ সংযোগ ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সেবা, খুলনায় টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবনে ৮০০০ ধারণক্ষমতার জিপন সেবা এবং যশোর এক্সচেঞ্জ ভবনে ৩০০০ ধারণক্ষমতার জিপন সেবা উদ্বোধন করেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী মহান ভাষা শহিদদের স্মরণে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহিদদের স্মরণে জিপনের বিশেষ সাশ্রয়ীমূল্যের প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
বিটিসিএল এর ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ জিপন এর বিশেষ সাশ্রয়ী প্যাকেজের আওতায় ৫ এমবিপিএস এর বিদ্যমান মূল্যে ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে, ৩৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন সাশ্রয়ী এই প্যাকেজের আওতায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউডথ পাওয়া যাবে ৫০০ টাকায়। ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেটের বিদ্যমান মূল্য ৮০০ টাকা। এখন থেকে ১৫ এমবিপিএস পাওয়া যাবে ৮০০ টাকায়। ১৫ এমবিপিএস বিদ্যমান মূল্য ১০৫০ টাকা, এখন থেকে সমপরিমাণ টাকা অর্থাৎ ১০৫০ টাকায় পাওয়া যাবে ২০ এমবিপিএস। বিদ্যমান মূল্যে ২০ এমবিপিএস এর দাম ছিল ১২৫০ টাকা। বিদ্যমান মূল্যে ২৫ এমবিপিএসের দাম ১৪৫০ টাকা। ২৫ এমবিপিএস এর পরিবর্তিত প্যাকেজ মূল্য ১৩০০ টাকা। ৩০ এমবিপিএস এর বিদ্যমান মূল্য ১৬৫০ টাকা। পরিবর্তিত মূল্য নির্ধারিত করা হয়েছে ১৫০০ টাকা। ৪০ এমবিপিএস এর মূল্য ২০৫০ টাকা, পরিবর্তিত মূল্য ২০০০ টাকা। ৫০ এমবিপিএস এর বিদ্যমান মূল্য ২৪৫০ টাকার পরিবর্তিত দাম রাখা হয়েছে ২৪০০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৫:২৪ ৩০ বার পঠিত