আজ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, সিডনীতে ‘ই-পাসপোর্ট’ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। এর ফলে সিডনীস্থ প্রবাসী বাংলাদেশীদের বহুদিনের প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে।
সিডনীতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ নূরুল আনোয়ার, বিএসপি, এনডিসি, এইচডিএমসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিডনীতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল জনাব মো. সাখাওয়াৎ হোসেন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম প্রকল্পের উপপরিচালক লেঃ কঃ সৈয়দ নাজমুর রহমান এসজিপি, জি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের ব্যক্তিগত সচিব জনাব মোঃ কায়সারুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব জনাব আলিমুন রাজিব, বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জনাব মো. সালাহ উদ্দিন। এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও সিডনিতে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
কনসাল জেনারেল তাঁর স্বাগত বক্তব্যে এই দিনটিকে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপরেখার আলোকে বাংলাদেশ ও বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করার মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত প্রক্রিয়াসমূহ সহজতর ও নিরাপদ করা হয়েছে। ই-পাসপোর্টকে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার এক অনন্য মাইলফলক হিসেবেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, সিডনীতে এই সেবা চালুর ফলে এখন থেকে সিডনীতে বসবাসরত বাংলাদেশীগণ কনস্যুলেট জেনারেল থেকেই ই-পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবেন। তিনি বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়/দপ্তরের সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
প্রধান অতিথি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ নূরুল আনোয়ার, বিএসপি, এনডিসি, এইচডিএমসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ ও বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সমূহে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন রূপরেখা বাস্তবায়নের একটি অন্যতম মাইল ফলক হলো ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম। তিনি বলেন যে ই-পাসপোর্টে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হওয়ায় একদিকে যেমন এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা বহুগুণে বৃদ্ধিপাবে অন্যদিকে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। তিনি জানান যে, বিদেশস্থ মিশনসমুহকে দ্রুততম সময়ে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বক্তব্য শেষে প্রধান অতিথি কয়েকজন আবেদনকারীকে ই-পাসপোর্টের এনরোলমেন্ট স্লিপ হস্তান্তর করেন।
বক্তব্য শেষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কেক কেটে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, সিডনী -এর ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন ও কনস্যুলার শাখায় স্থাপিত ই-পাসপোর্ট সিস্টেম পরিদর্শন করেন।
ই-পাসপোর্ট আবেদন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য অচিরেই বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল -এর ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। ই-পাসপোর্ট গ্রহণে আগ্রহী সকলকে কনস্যুলেট জেনারেলের ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে আবেদন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৪:৩৭ ৫০ বার পঠিত