সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, দারিদ্র্য যেন কোন মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ইমদাদ-সিতারা খান ফাউন্ডেশন বৃত্তি ও সম্মাননা সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা সারা দেশে শিক্ষার্থীদেরকে মেধাবৃত্তি ও উপবৃত্তি দিচ্ছেন, যে কারণে ক্রমাগত ঝরে পড়ার হার কমে যাচ্ছে। গত দুই বছর ধরে যেভাবে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এসেছি, তাতে ঝরে পড়া একদমই কমে যাচ্ছে।
মন্ত্রী নতুন পাঠ্যক্রম প্রসঙ্গে বলেন, গত বছর নভেম্বর- ডিসেম্বরে যখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম, আমি সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সংগে কথা বলেছি, প্রতিদিন ৫০০ জনের সাথে জুম মিটিং করেছি টানা বিয়াল্লিশ দিন এবং তখন প্রত্যেকের কাছ থেকে একটি কথাই আমি শুনেছি, যেই শ্রেণী কক্ষগুলোতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে, সেই শ্রেণী কক্ষগুলোতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি শতভাগ, এবং তাদেরকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না, তারা শ্রেণী কক্ষে ছুটে আসছে, সেখানে পড়ছে ও ভাল করছে, আনন্দের সাথে শিখছে। আমারা এই ঝরে পড়ার একবোরে দূর করে দিতে পারবো। কিন্তু পরিবারগুলোর মধ্যে বেশ কিছু পরিবার আমরা এখনও দরিদ্র আছে। আমরা দারিদ্রকে শুণ্যের কোটায় আনতে পারিনি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বিশাল রকমভাবে দারিদ্রকে কমিয়ে আনতে পেরেছি। কিন্তু আরও বহুদূর আমদেরকে পথ পাড়ি দিতে হবে সেটাকে শূ্ন্যের কোটায় নিয়ে যেতে। কিন্ত ততদিন এ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে হবে। মেধাবী শিক্ষার্থী যারা আছে যাদের উচ্চ শিক্ষার পথে দারিদ্র হয়তো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই শিক্ষার্থীদের পাশে আমাদেরকে দাঁড়াতে হবে। তার যেন উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, যে সক্ষমতা আছে, যার যা মেধা আছে, সে অনুযায়ী তারা যেন পারে।
মন্ত্রী শিক্ষার সমান সুযোগ তৈরিতে বর্তমান সরকারের অবস্থান উল্লেখ করে বলেন, যতবার আওয়ামী লীগ তার ইশতেহার দিয়েছে ততবার শিক্ষার ক্ষেত্রে একথাটি থাকে, ‘দারিদ্র যেন কোন মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়’,। অর্থাৎ সেখানে রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছে। রাষ্ট্র সবসময় পুরোটা করতে পারেনা, সেখানে বেসরকারি পর্যায় থেকে, সাধারণ মানুষের পর্যায় থেকে যাদের সক্ষমতা আছে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনহিতকর কর্মসূচি সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, এ মন্ত্রণালয় থেকে নানা ধরণের ভাতা দেয়া হচ্ছে। আমি কিডনি ডায়ালাইসিস সুবিধা সহজলভ্য করার জন্য প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছি, সে লক্ষে রিসোর্স ম্যাপিং চলছে, বয়স্কদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপনেও প্রকল্প গ্রহণ করা হবে এবং ঢাকাসহ অন্যান্য মহানগরীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে আগত রোগী ও এটেন্ডডেন্টদের থাকার জন্য ডরমিটরি স্থাপনের জন্য ও আমরা কাজ করছি।
এরপর মন্ত্রী মেধাবী শিক্ষার্থীরা হাতে বৃত্তি ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির পরিচালনা বোর্ডের সদস্যবৃন্দ, অংশীজন ও বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৭:০২ ১৯ বার পঠিত