সংসদ ভবন, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ : সরকারি দলের সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের আইন, সংবিধান, গণতন্ত্র মানে না। তারা হত্যা, খুন ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি কোন রাজনৈতিক দল নয়, তারা একটি জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন। যারা দেশের আইন, সংবিধান ও গণতন্ত্র মানে না, যাদের কাছে দেশের মানুষের মানবাধিকারের কোন মূল্য নেই তারা দেশে কীসের রাজনীতি করবে?’
শেখ ফজলুল করিম সেলিম আজ সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রতিহত করার নামে বিএনপি-জামায়াত জঙ্গী গোষ্টী সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা চালায়। বিএনপি ২৮ ডিসেম্বর সমাবেশের নামে ঢাকা শহরে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। একজন পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা ভাংচুর চালায়, হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে, এ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ট্রেনে আগুন দিয়ে মা ও শিশুকে হত্যা করেছে।
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী গত ৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন তার এই প্রস্তাবে সমর্থন জানান।
স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি-জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে শেখ ফজলুল করিম সেলিম প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনিই পারবেন এই স্বাধীনতা বিরোধীদের নিষিদ্ধ করতে। স্বাধীনতা বিরোধী কোন দলের এদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। স্বাধীনতা বিরোধী দল বিএনপি-জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে পারলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠনেরও দাবি জানান।
শেখ সেলিম রাষ্ট্রপতির ভাষণকে সময়োপযোগি উল্লেখ করে বলেন, রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের তাগিদ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৪৯:৪১ ১৮ বার পঠিত