পবিত্র কাবা শরীফের গিলাফের সুগন্ধির খ্যাতি বিশ্বজোড়া। আর এই সুগন্ধির আদলে তৈরি করা ‘কিসওয়াতুল কাবা’ নামের সুগন্ধিটি বাণিজ্য মেলায় নজর কাড়ছে অনেকেরই।
কিসওয়াতুল কাবা মূলত স্প্রে পারফিউম। এটি শরীরে বা পোশাকে ব্যবহারের জন্য না হলেও জায়নামাজ, জোব্বা বা গিলাফে ব্যবহার করা হয়। মূলত এই পারফিউমটি কাবার গিলাফের সুগন্ধি সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করায় এটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
বাণিজ্য মেলার হামনাহ নামক একটি সুগন্ধির স্টল ঘুরে দেখা যায়, যারাই স্টলে গিয়ে কিসওয়াতুল কাবার খোঁজ করছেন তাদের মখমলের কাপড়ে স্প্রে করে ঘ্রাণ শুঁকিয়ে দেখাচ্ছেন বিক্রয় প্রতিনিধিরা।
যারা কাবা শরীফের গিলাফের ঘ্রাণ নেননি তাদের অনেকেই আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন স্টলের দিকে। অনেকে আবার কিনে রাখছেন সংরক্ষণের জন্য।
সৌদি সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, কাবার গিলাফে প্রতিদিন ৬০ কেজি সুগন্ধি ব্যবহার করা হয়। মূলত উদ কাঠের নির্যাসকে ভিত্তি ধরে তার সঙ্গে আরও নানা দ্রব্যাদি মিশিয়ে তৈরি হয় গিলাফের সুগন্ধি।
বাণিজ্য মেলায় পাওয়া কিসওয়াতুল কাবা প্রসঙ্গে স্টলে থাকা বিক্রয় প্রতিনিধি ইয়াসিন বলেন,
এটি মূলত গিলাফের সুগন্ধির আদলে তৈরি করা। এটির ঘ্রাণের সঙ্গে গিলাফের ঘ্রাণের হুবহু মিল না থাকলেও মোটামুটি মিল পাওয়া যাবে।
তিনি জানান, মুসলমানদের আবেগের জায়গা বায়তুল্লাহ কাবার চাদরের সুগন্ধির কথা মাথায় রেখে ভারতের নানা সুগন্ধি পণ্যের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে এ কিসওয়াতুল কাবা। এটি শতভাগ নন অ্যালকোহলিক ও ওয়াটার বেইজ হওয়ার সম্পূর্ণ হালাল।
কিসওয়াতুল কাবার ঘ্রাণ প্রসঙ্গে মেলায় ঘুরতে আসা দর্শণার্থী সাব্বির বলেন, ‘মখমলের এক টুকরা কাপড়ের ওপরে স্প্রে করে তারা আমার হাতে দেয়ার পর ঘ্রাণ শুঁকে দেখলাম খুব মিষ্টি। রেপ্লিকা সুগন্ধির ঘ্রাণ যদি এত সুন্দর হয়, তাহলে গিলাফের আসল সুগন্ধ কেমন হবে ভাবা যায় না।’
গত ২১ জানুয়ারি শুরু হওয়া ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা চলবে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। ছুটির দিন মেলা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। এবারের বাণিজ্য মেলার প্রবেশ টিকিট মূল্য গতবারের চেয়ে ১০ টাকা বাড়িয়ে ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর শিশুদের টিকিটের মূল্য ২০ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৬:৩১ ৪৮ বার পঠিত