মানুষের কল্যাণে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি গতকাল কালো পতাকা মিছিল করেছে। কিন্তু জনগণ বিএনপিকে নির্বাচনের মাধ্যমে কালো পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে। বিদেশিরাও বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে।
আজ রবিবার সন্ধ্যায় নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন,‘ দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন বানচালে তাঁরা (বিএনপি) বিদেশিদের কাছে ধর্না দিয়েছিল, কোনো লাভ হয় নাই। বিদেশিরা লাল পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,‘ ট্রেন স্টেশনে দেখা হয়, এয়ারপোর্টে দেখা হয়, বলি ভাই কি ঘটনা।
বলেন উনি সব শেষ করেছেন। উনি কে, উনি হচ্ছেন তারেক রহমান। কারণ আজকে বিএনপিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন এই তারেক রহমান। তারা জনগণের জন্য রাজনীতি করে না।
বিএনপি ও জাতীয় পার্টির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই আমরা যখন শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করছি, শীতবস্ত্র বিতরণ করছি, বিএনপি কই, খুঁজে পাওয়া যায় না। বিএনপিকে কখন খুঁজে পাওয়া যায়, যখন পেট্রোল বোমা মারে। আর জাতীয় পাটি কই, তাদেরওতো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা এখন রওশন এরশাদ আর জিএম কাদের এই দুইটা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। শুধু আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে আছে।
শুধু আওয়ামী লীগ মানুষের কাছে আছে। আজকে শীতবস্ত্র বিতরণ বলুন, কিংবা মানুষের কাছে অন্যান্য সাহায্য সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া বলুন, সেটি একমাত্র আওয়ামী লীগই করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল নাকি বিএনপির নেতারা বলেছেন, ‘আমরা (আওয়ামী লীগ) ভারত, রাশিয়া, চীনের সরকার। কিন্তু আমরা এই দেশের খেটে খাওয়া মানুষের সরকার। এই দেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত সরকার। আমাদের সঙ্গে ভারত, রাশিয়া, চীনের যেমন ভালো সম্পর্ক। আমাদের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ অন্যান্য দেশের সাথেও আমাদের ভালো সম্পর্ক আছে। তাই তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’
আওয়ামী লীগের রাজনীতি জনগণের রাজনীতি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের একজন নেত্রী। শেখ হাসিনার কাছে গেলে মনে হবে তিনি আপনার মা, বড়বোন। অন্য কোনকিছু আপনার কাছে মনে হবে না। এটিই হচ্ছেন শেখ হাসিনা। এখানেই হচ্ছে অন্যদের সাথে শেখ হাসিনার পার্থক্য। আর আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে থাকে। এর বাইরে অন্য কোনো রাজনীতি নাই। আমাদের রাজনীতি জনগণের রাজনীতি। আমাদের রাজনীতি খেটে খাওয়া মানুষের জন্য রাজনীতি।’
দেশের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা শুধু ঘর করে দিচ্ছেন তাই নয়, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, পঙ্গু ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ ২২ প্রকারের ভাতা প্রদান করেছেন। প্রতিটি ইউনিয়নের দুই হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার, পাঁচ হাজার পর্যন্ত নানা ধরনের ভাতা দেওয়া হয়। মাতৃত্বকালীন ভাতা কেউকি ভেবেছে কখনো যে অন্তঃস্বত্ত্বা হলে সরকার পয়সা দিবে। আর মেয়ে স্কুলে গেলে আপনার মোবাইল ফোনে টাকা চলে আসবে। কেউ স্বপনেও দেখেছেন? করোনা মহামারীর মধ্যেও মোবাইল ফোনে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা হচ্ছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। তাই আওয়ামী লীগ যেমন আপনাদের পাশে আছে, আপনারও আওয়ামী লীগের পাশে থাকবেন।’
অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হকের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৩:১৭ ৩৩ বার পঠিত