শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

করোনার নতুন উপধরনে বিপদের লক্ষণ কয়টি?

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » করোনার নতুন উপধরনে বিপদের লক্ষণ কয়টি?
শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪



করোনার নতুন উপধরনে বিপদের লক্ষণ কয়টি?

দেশে শীতের দাপট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হানা দিয়েছে করোনার নতুন উপধরনও। যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি) সতর্ক করে বলছে, এবারের শীতজুড়ে জেএন.১-এর সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। শীতের সর্দি কাশি থেকে করোনার এ নতুন ধরনের লক্ষণ চিনে নিতে আসুন জেনে নিই করোনার নতুন উপধরন জেএন.১ আক্রান্তের লক্ষণগুলো।

জেএন.১ নামে করোনার এ নতুন উপধরনে আক্রান্ত হলে শ্বাসতন্ত্রে মারাত্মক ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া সাধারণ সর্দি-কাশির লক্ষণের সঙ্গে বেশ কিছু উপসর্গ স্পষ্ট হয়ে ওঠে রোগীর মধ্যে।

এগুলো হলো-
১। মাথা ব্যথা

২। গলা ব্যথা

৩। খাবারের স্বাদ বুঝতে না পারা

৪। গন্ধ বা ঘ্রাণ শক্তি হারানো

৫। ক্লান্তি

এসব উপসর্গের পাশাপাশি যদি আরও ৪টি লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে তবে রোগীর ক্ষেত্রে তা বিপদের লক্ষণ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ অবস্থায় রোগীকে দ্রুত ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিপদজনক ৪টি লক্ষণ হলো-

৬। শ্বাসকষ্ট

৭। বুক ব্যথা

৮। ডায়রিয়া

৯। বিভ্রান্ত বোধ করা ইত্যাদি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্পাইকের মিউটেশন বা চরিত্র পরিবর্তনের মাধ্যমে অমিক্রনের নতুন একটি উপধরন হলো জেএন.১। গবেষকরা বলছেন, করোনার নানা ভেরিয়েন্ট বা ধরনের মধ্যে এই উপধরনটি দ্রুত একজন থেকে অন্যজনে সংক্রমণ করতে পারে।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনা টিকা নতুন এ উপধরনে কার্যকারি কি না তা জানতে সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু কোভিডের সর্বশেষ প্রতিষেধক সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে কার্যকরী।

পাশাপাশি করোনার এ নতুন উপধরন থেকে বাঁচতে নিজেদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ভেষজ খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়ানো ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

এখন পর্যন্ত সারা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৯৩৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৮১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৪ হাজার ৩০৩ জন।

করোনা রোগ সর্বপ্রথম চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে ২০১৯ সালে। একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর উহানে নিউমোনিয়ার মতো একটি রোগ ছড়াতে দেখে প্রথম চীনের কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

এরপর বিশ্বের প্রায় সব দেশেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। মহামারি থেকে অতিমারিতে রূপ নেয়া করোনার নতুন নতুন উপধরনে দিশেহারা হয়ে পড়ে বিশ্ববাসী। দিনে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

চিকিৎসকদের চেষ্টায় করোনার টিকা কার্যক্রম শুরুর পর ধীরে ধীরে আক্রান্ত-মৃত্যু কমতে থাকে। এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৫৬৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬৯ লাখ ৭৩ হাজার ৭১১ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৬৭ কোটি ৩২ লাখ ৯৭ হাজার ৭৩১ জন। ঠিক কীভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল তা এখনও নির্ভুলভাবে চিহ্নিত করতে পারেন নি বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৯:২০   ৪০ বার পঠিত