একদিনের ব্যবধানে সিরাজগঞ্জে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলিসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীতে কাঁপছে যমুনা পাড়ের মানুষ। এ কারণে জেলার সব মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে বাঘাবাড়ী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল জানান, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে এ জেলায় এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আজ সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ায় উচ্চ চাপ থাকার কারণে কুয়াশার তীব্রতা বেড়েছে। তিনি আরও জানান, জানুয়ারি মাসজুড়ে শীত অব্যাহত থাকতে পারে।
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে জেলার মোট ৩৮৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৯২টি মাদ্রাসা ও ১৬৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সকালে সূর্যের দেখা মিললেও তাপমাত্রা কম থাকায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ দেখা যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মজীবনে নেমেছে স্থবিরতা। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন অনেকে।
সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের চন্ডিদাসগাতি গ্রামের মাঠে কাজ করা অবস্থায় কেরামত আল বলেন, আকাশে রোদ উঠলেও খুব ঠান্ডা। অনেক বছর পরে এত শীত পড়েছে। এই শীতে জমির পানিতে নেমে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। তবুও কাজ তো করতেই হবে।
তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর গ্রামের বাবু লাল মাহাতো বলেন, শীতে কাঁপছে মানুষ ও গবাদি পশু। গরু ছাগল শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে। গরুর শরীরে পাটের ছালা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আফসার আলী বলেন, ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নেমে আসায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ ও আগামীকাল (বুধবার) এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আব্দুর রহমান বলেন, তাপমাত্রা কম থাকায় সিরাজগঞ্জের ১৬৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৬:১৮ ৪০ বার পঠিত