চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈদেশিক যোগাযোগ মন্ত্রী লিউ চিয়ান ছাও’র সঙ্গে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কর্নেল (অব.) ফারুক খানের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেছে।
বুধবার (২৪ মে) এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় লিউ চিয়ান ছাও বলেছেন, চীন ও বাংলাদেশের মৈত্রীর ভিত্তি স্থাপন করেছেন প্রবীণ নেতারা। নতুন যুগে তা অব্যাহতভাবে উন্নত হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সি চিন পিং এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখেছেন এবং দু’দেশের সম্পর্ককে কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারি সম্পর্কে উন্নীত করেছেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে, শান্তি ও উন্নয়ন হল চীন ও বাংলাদেশসহ ব্যাপক উন্নয়নশীল দেশ ও অঞ্চলের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা। বর্তমানে চীন ও বাংলাদেশে উন্নয়ন এবং পুনরুত্থানের নতুন পর্যায় শুরু হয়েছে। চীনা জাতির মহান পুনরুত্থানের স্বপ্ন এবং ‘সোনার বাংলাদেশের’ স্বপ্নে অনেক মিল আছে। চীন সহাবস্থানের ভিত্তিতে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এবং ‘ভিশন ২০৪১’-এর সংযোগ জোরদার করতে চায়। পাশাপাশি, দু’দেশের সহযোগিতা বাড়াতে ও আঞ্চলিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে আগ্রহী চীন। লিউ চিয়ান ছাও আরও বলেন, রাজনৈতিক দলের বিনিময় কার্যকরভাবে চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নত করেছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের সঙ্গে ব্যবস্থাগত বিনিময় ও বিভিন্ন স্তরের বিনিময় বৃদ্ধি, পরস্পরের কেন্দ্রীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরস্পরকে দৃঢ় সমর্থন দেওয়া, দারিদ্র্যমোচন, দেশ পরিচালনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিনিময় করা, যুবক, নারী ও গণ-মাধ্যমের সহযোগিতা জোরদার করতে চায় এবং দু’দেশের অর্থনীতি ও জনগণের জীবিকার উন্নয়নে সাহায্য করতে ইচ্ছুক।
তিনি আশা করেন, দু’দেশ যৌথভাবে বিশ্ব উন্নয়ন উদ্যোগ, বিশ্ব নিরাপত্তা উদ্যোগ, বিশ্ব সভ্যতা উদ্যোগ চর্চা করবে, দৃঢ়ভাবে আধিপত্যবাদের বিরোধিতা করবে, উন্নয়নশীল দেশের অভিন্ন স্বার্থ রক্ষা করবে এবং যৌথভাবে মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তুলবে।
সাক্ষাতে ফারুক খান বলেন, মহামারির পর তিনি আওয়ামী লীগের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দল নিয়ে চীনে এসেছেন। যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশের গুরুত্বারোপের বহিঃপ্রকাশ। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর সঙ্গে গভীর ব্যক্তিগত মৈত্রী স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে দু’নেতার মতৈক্য বাস্তবায়ন করতে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিময় ও সহযোগিতা বাড়াতে ইচ্ছুক। বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে ‘এক চীন নীতি’ মেনে চলে এবং প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর নেতৃত্বে চীন আরো উজ্জ্বল সাফল্য অর্জন করবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৭:৪০ ৬৪ বার পঠিত