দেশের পোশাক কর্মীদের ব্যাপক চক্ষু পরিচর্যা সেবা প্রদান, অন্ধত্ব প্রতিরোধ এবং চোখের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে নিবেদিত বৈশ্বিক সংস্থা হেলেন কেলারের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিজিএমইএ।
এতে বলা হয়, পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত রাখা, সুনাম ধরে রাখা এবং দীর্ঘমেয়াদী টেকসই উন্নয়নের জন্য কর্মীদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেয়া অপরিহার্য। বিষয়টির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বিজিএমইএ বাংলাদেশের পোশাক কর্মীদের কল্যাণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিজিএমইএ পোশাক কর্মীদের ব্যাপক চক্ষু পরিচর্যা সেবা প্রদানের জন্য, অন্ধত্ব প্রতিরোধ এবং চোখের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে নিবেদিত বৈশ্বিক সংস্থা হেলেন কেলারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করছে।
শনিবার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সূচনাকারী কর্মশালায় (ইনসেপশন ওয়ার্কশপ) বিজিএমইএ ও হেলেন কেলারের প্রতিনিধিরা চক্ষু পরিচর্যা উদ্যোগ বাস্তবায়নে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এই অংশীদারিত্বের লক্ষ্য হলো প্রাথমিক চক্ষু পরিচর্যা পরিষেবা প্রদান করা, যার মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক চক্ষু পরীক্ষা, প্রেসক্রিপশন চশমা এবং আরও জটিল চোখের ব্যাধিগুলোর জন্য রেফারেল।
এর আগে হেলেন কেলার এবং বিজিএমইএ পোশাক কর্মীদের চোখের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এই উদ্যোগের অধীনে বিজিএমইএ এর অধিভুক্ত পাঁচটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, কেন্দ্রগুলোকে কার্যকরী চক্ষুসেবা পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করা হবে। এই সহযোগিতার একটি অপরিহার্য দিক হলো, কর্মীদের উৎপাদনশীলতার উপর চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতির প্রভাব মূল্যায়ন করা।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পোশাক খাতের কর্মীদের চোখের স্বাস্থ্য আরও ভালো করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে বিজিএমইএ ও হেলেন কেলারের সহযোগিতামূলক উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
তিনি বলেন, ‘পোশাক কর্মীদের চোখের যত্নে পরিষেবা প্রদান করা শুধুমাত্র তাদের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করার বিষয় নয়, বরং কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা, নিরাপত্তা এবং সামগ্রিক কাজের সন্তুষ্টিতে অবদান রাখে।’
কর্মশালায় হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিনা আক্তার কিভাবে উন্নত দৃষ্টি এবং চোখের স্বাস্থ্য সরাসরি উৎপাদনশীলতা এবং কাজের মান বৃদ্ধিতে অবদান রাখে, তা তুলে ধরে চোখের যত্নে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, বিজিএমইএর স্বাস্থ্য প্রকল্পগুলোর ডাইরেক্টর ইন চার্জ নীলা হোসনে আরা, বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন সাসটেইনেবিলিটির চেয়ারম্যান শেখ এইচ.এম. মুস্তাফিজ, ওএসবি হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আভা হোসেন, মহাসচিব অধ্যাপক দীপক নাগ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৮:১০ ৫০ বার পঠিত