টেকসই উন্নয়নের অংশীদার হতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান কানাডার ব্যবসায়ীরা। প্রাথমিক ধাপ হিসেবে এরই মধ্যে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সঙ্গে সমঝোতা চুক্তিও করেছে কানাডিয়ান হিন্দু চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিএইচসিসি)।
কানাডার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে নতুনভাবে বিনিয়োগ করতে চান। তাই নতুন বছরের শুরুতেই বাংলাদেশে এসেছেন সিএইচসিসির ৩০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
তিন দিনের সফর শুরুর প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তিও করেছে সিএইচসিসি। সম্ভাবনা এবং শঙ্কার মেলবন্ধনে নানা প্রশ্নের উত্তরও খুঁজেছেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।
এ সময় বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহের বিষয়ে কানাডিয়ান হিন্দু চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি নরেশ কুমার নারায়ণ ভাই চাওরা বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগেরে বিশাল সুযোগ রয়েছে। কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতি খুব দ্রুত বড় হচ্ছে, বিশেষ করে হাইড্রো পাওয়ার টেকনোলজি ও আইসিটি খাত। এগুলো কানাডার ব্যবসায়ীদের প্রধান হাতিয়ার। বাংলাদেশের এসব খাতে বিনিয়োগ করতে পারলে লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।’
এ ছাড়া প্রযুক্তিনির্ভর খাতের বাইরে বাংলাদেশের আবাসন খাত, টেক্সটাইল ও পর্যটন খাতে বিনিয়োগ সম্ভাবনা খোঁজার কথা জানান সিএইচসিসির সদস্য সুশীতল চৌধুরী।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের অন্যতম বড় একটি রফতানি গন্তব্য কানাডায় গত অর্থবছর গেছে ১৭২ কোটি ৫১ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য। বিপরীতে দেশটি থেকে দেড়শ কোটি ডলারের কম মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় কানাডার সরাসরি বা যৌথ বিনিয়োগ আনতে সরকারের সঙ্গে কাজ করছে এফবিসিসিআই।
বাংলাদেশের অন্যতম বড় একটি রফতানি গন্তব্য কানাডা। ইনফোগ্রাফিক্স
এফবিসিসিআই সহসভাপতি মো. খায়রুল হুদা চপল বলেন,
আমরা চাই এফবিসিসিআইয়ের নেতৃত্বে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুক। কেননা, দেশে বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের দেশ বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, নেপালসহ আঞ্চলিক বাণিজ্য জোরদারেও বাংলাদেশকে সঙ্গে রাখতে চান কানাডার বিনিয়োগকারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৬:০৮ ৩৫ বার পঠিত