উত্তর কোরিয়ার পরমাণু-হুমকির মোকাবিলা করতে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার পরমাণু চুক্তি।
চুক্তি অনুসারে, আমেরিকা নিয়মিতভাবে দক্ষিণ কোরিয়ায় পরমাণু-অস্ত্র-সহ সাবমেরিন মোতায়েন করবে। তাদের পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত অপারেশনের পরিকল্পনা করার সময় দক্ষিণ কোরিয়াকেও সঙ্গে রাখা হবে। বিনিময়ে পরমাণু-অস্ত্র বানাবার চেষ্টা করবে না দক্ষিণ কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওলের আমেরিকা সফরের সময়ই এই চুক্তির কথা ঘোষণা করা হলো। দক্ষিণ কোরিয়াকে আশ্বস্ত করে আমেরিকা জানিয়েছে, যদি উত্তর কোরিয়া পরমাণু-অস্ত্র ব্যবহার করে বা তাদের সেই অস্ত্রের ব্যবহার থেকে থামাবার দরকার হয়, তাহলে আমেরিকা তাদের পরমাণু-অস্ত্র ব্যবহার করবে। এমনকী আমেরিকার কোনো শহরে যদি পরমাণু-অস্ত্র হামলার ঝুঁকি থাকে, তাও তারা দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য এই কাজ করবে।
এই চুক্তি থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট হচ্ছে, উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু-অস্ত্র বানানো থেকে বিরত করা যাচ্ছে না। গত চার বছরে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রসম্ভার এতটাই বেড়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা তার হিসাব রাখতে পারছেন না।
আমেরিকার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার আগে একটা চুক্তি ছিল। তাতে বলা হয়েছিল, আক্রান্ত হলে দক্ষিণ কোরিয়ার পাশে দাঁড়াবে আমেরিকা। প্রয়োজনে পরমাণু-অস্ত্রও ব্যবহার করবে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রশ্ন উঠছিল, এই চুক্তিতে আমেরিকার দায়বদ্ধতা ঠিক করে প্রকাশ পাচ্ছে না। দক্ষিণ কোরিয়ারও উচিত, পরমাণু-অস্ত্র বানানো। বলা হচ্ছিল, শুধু কিছু মৌখিক প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট নয়। তাই এই নতুন চুক্তির দরকার হয়ে পড়েছিল। এখানে আমেরিকার দায়বদ্ধতা অনেক স্পষ্ট করে বলা আছে।
গত কয়েক মাস ধরে দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার পর এই চুক্তি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৮:৩০ ৬৭ বার পঠিত