ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান বলেছেন আগামী বছরের প্রথমার্ধেই সারা বাংলাদেশে ‘রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ’ স্থাপনের কাজ শুরু করা সম্ভবপর হবে।
আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উত্তম ভূমিসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ধর্মী বিষয়াবলী নিয়ে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণে সভাপতির বক্তব্যে ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান এই আশাবাদ-ব্যক্ত করেন। এ সময় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী ১৭টি উপজেলায় ই-রেজিস্ট্রেশন ও ই-মিউটেশনের পাইলটিং কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন যা এখন উপজেলা গুলোতে পুরোদমে চলমান।
ভূমি সচিব বলেন, জমি ক্রয় পরবর্তী ভূমি নিবন্ধনের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামজারি সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে ‘রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ’-এর মাধ্যমে। ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণের ডিজিটাল ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে এই ব্যবস্থায়।
মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের প্রবক্তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাহী সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ের এই ডিজিটাল সংযোগ দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে মানুষের ভোগান্তি লাঘব হবে।
ভূমি সচিব আরো বলেন, বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় আইন ও বিচার বিভাগের আওতায় ভূমি নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ কার্যক্রম পরিচালিত হয় ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায়। স্বচ্ছ, দক্ষ, আধুনিক ও টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং ভূমি সংক্রান্ত জনবান্ধব সেবা নিশ্চিতকরণের জন্য এই দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কাজের নিরবিচ্ছিন্ন সমন্বয়সাধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী শুরু থেকেই গুরুত্ব দিয়েছেন।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এর ফলে দুর্নীতির সুযোগ অনেক কমে আসবে। কমে যাবে ভূমি বিষয়ক দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার সংখ্যা। তিনি এসময় আরো উল্লেখ করেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দ্রুত ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৯:২৯ ৬৯ বার পঠিত