মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচন বর্জনকারীদের মুখে কালিমা লেপন করবে : তথ্যমন্ত্রী

প্রথম পাতা » চট্রগ্রাম » জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচন বর্জনকারীদের মুখে কালিমা লেপন করবে : তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩



জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচন বর্জনকারীদের মুখে কালিমা লেপন করবে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে নির্বাচন বর্জনকারীদের মুখে কালিমা লেপন করবে দেশের জনগণ। তিনি বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ আজকে নির্বাচনমুখী, মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। এটি নির্বাচন বর্জনকারী ও প্রতিহতকারীদের মুখে চপেটাঘাত।

আজ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামের চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান থেকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটার প্রদক্ষিণ করে তাপবিদ্যুৎ ফটক এলাকা পর্যন্ত বিজয় র‍্যালির শুরুতে পথসভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ শোভাযাত্রায় তিন শতাধিক যানবাহনে দল ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেয়।

ড. হাছান বলেন, ‘একজন কাজের লোক ডিউটি করে ৮ ঘণ্টা আর আমি সময় দিই ১৬ থেকে ২০ ঘণ্টা। সকাল ৮ টায় ঘুম থেকে উঠে রাতের ২ টার আগ পর্যন্ত কোনো ঘুম নেই। একজন রাখাল যেভাবে খাটে, আপনাদের সন্তান হিসেবে আমি সেই পরিমাণ খাটাখাটি করি।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ, এই রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী অংশে যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে, এগুলো আপনারা মাথায় রাখবেন। ৭ তারিখ মা-বোন, বউ-বাচ্চা ও নাতিদের নিয়ে ভোট সেন্টারে যাবেন, যারা ভোট বর্জন করতে চেয়েছিল, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমরা তাদের মুখে কালিমা লেপন করে দেবো ইনশআল্লাহ।’ দেশের উন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ রচনার এবং তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার সার্থকতা এখানেই যে, আজকে পাকিস্তান আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে, পাকিস্তান এখন বাংলাদেশ হতে চায়।

নিজ নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও বোয়ালখালী অংশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমগ্র বাংলাদেশ আজকে বদলে গেছে। ১৫ বছর আগে উত্তর রাঙ্গুনিয়ার এক থেকে আরেক প্রান্তে যেতে সকাল থেকে বিকেল গড়িয়ে যেত। সাথে পোটলা নিয়ে যেতে হতো। সড়কগুলোর এমন করুণ অবস্থা ছিল যে মানুষের কোমর ব্যথা হয়ে যেত। আর এখন সর্বোচ্চ এক ঘন্টায় যে কোনো প্রান্তে পৌঁছানো যায়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে গ্রামের আর শহরের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে এখন টিভি-ফ্রিজ, ইন্টারনেটের লাইন, এগুলো আগে ছিল না। এগুলো সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে।’

মুক্তিযুদ্ধে এলাকার মানুষের ত্যাগ-তিতিক্ষা স্মরণ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে এই রাঙ্গুনিয়ার অনেক মানুষ জীবন দিয়েছে। অনেককে কর্ণফুলী নদীর তীরে দাঁড় করিয়ে গুলি করে নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। চন্দ্রঘোনায় পাকিস্তানিদের ক্যাম্প থেকে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নির্যাতন চালানো হতো। পদুয়া ইউনিয়নে একদিনে ১২শ’ বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল। রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন জায়গাতেও বহু বাড়ি-ঘর জ্বালানো হয়েছে।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে আবুল কাশেম চিশতি, মোঃ শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, মোঃ ইদ্রিছ আজগর, মুহাম্মদ আলী শাহ, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ইফতেখার হোসেন বাবুল, আকতার হোসেন খান, শফিকুল ইসলাম, আবদুল মোনাফ সিকদার, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার প্রমুখ মন্ত্রীর সাথে শোভাযাত্রার অগ্রভাগে ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১:২৯:৫৯   ৩৩ বার পঠিত   #