বিনম্র শ্রদ্ধা ও যথযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করেছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) আগরতলার দূতালয় প্রাঙ্গণে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করা হয়।
এদিন বিকেল ৪টা ১ মিনিটে ১ মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় ৪টা ২০মিনিটে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. রেজাউল হক চৌধুরী। পরবর্তীতে আলোচনা সভায় সাংবাদিক ও প্রেস ক্লাব, আগরতলার সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শ্রী অমিত ভৌমিক, আরশি কথার এডিটর ইন চিফ শান্তনু শর্মা, বাংলাদেশ থেকে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আওয়াল মিয়া অংশ নেন। সমাপনী বক্তব্য দেন অত্র মিশনের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ।
সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ তার বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদকে। তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে অর্থাৎ চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাক হানাদার বাহিনী, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও তাদের দোসররা পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং শিল্পীসহ বহু গুণীজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
তিনি তার বক্তব্যে জাতির সূর্যসন্তান শহিদ বুদ্ধিজীবীদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করেন এবং শহীদ পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীদের নির্মম হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে পারলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে ত্রিপুরার সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সিভিল সোসাইটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং আগরতলা মিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন অত্র মিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. রেজাউল হক চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৫:২৬ ৫৫ বার পঠিত