বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে রেললাইন উপড়ে ফেলা কিংবা বাসে আগুন দেয়ার মতো কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলেই প্রত্যাশা ওয়াশিংটনের। এসব কথা জানিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আবারও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধে গণপরিবহনে আগুনের ঘটনায় জনমনে আগে থেকেই ছিল আতঙ্ক। এবার রেললাইনে নাশকতা সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন ভীতির সঞ্চার করেছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) গাজীপুরের ভাওয়াল এলাকায় রেললাইন কেটে ফেলায় উল্টে যায় ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’। প্রাণ হারান একজন। আহত হন আরও অনেকে। এর একদিন না যেতেই নীলফামারীর ডোমারে রাতের আঁধারে রেললাইনের ৭১টি ক্লিপ খুলে ফেলে অবরোধকারীরা। তবে স্থানীয়রা বিষয়টি দেখে ফেলায় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় খুলনাগামী ‘সীমান্ত এক্সপ্রেস’।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে উঠে আসে আন্দোলনের নামে বাংলাদেশের মানুষের ওপর বিএনপির সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি। নির্বাচন বানচালের উদ্দেশে ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস ও ট্রেনে আগুন, রেললাইন উপড়ে ফেলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২:০৩:০০ ৫৯ বার পঠিত