জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, এদেশের জনগণই পারে দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে। গরুর মাংসের দাম যখন হু হু করে বেড়েই চলেছে ঠিক তখনই মানুষ গরুর মাংস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এতে করে আবার স্বাভাবিক দামে চলে আসে গরুর মাংস। ঠিক তেমনই সব জায়গাতেই আমাদের মনিটরিং থাকলেও মানুষের সহযোগিতায় আবার পেঁয়াজের দামও কমে যাবে।
বুধবার দুপুরে পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য পরিস্থিতি ও ভোক্তা আইন সংরক্ষণ সভায় বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। ঢাকার কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের মহাপরিচালক বলেন, আমাদের অভিযানের সময় লক্ষ করলাম এক ভদ্র মহিলা এসেছেন দোকানে পেঁয়াজ কিনতে। বিক্রেতা তার কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করতে চাচ্ছে না। কারণ অভিযান শেষ হলেই আবার সেই আগের দামে পেঁয়াজ বিক্রি করবেন দোকানদার। কিন্তু মহিলা তার কোনো কথা শুনছেই না। অভিযান চলাকালেই তিনি পেঁয়াজ কিনবেন। বিক্রেতা যখন বলছেন তিনি তার কাছে বিক্রি করবে না। ঠিক তখনই মহিলা ঘটালেন এক আজব কাণ্ড। ভদ্র মহিলা তার আশেপাশের লোকজনকে ডেকে নিয়ে আসছেন সেই দোকানের কাছে এবং বলছেন যার যতটুকু লাগে নিয়ে নেন। পরে দোকানদার বাধ্য হয়েই তার কাছে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হন।
কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজারের থরে থরে সাজানো পেঁয়াজ কীভাবে উধাও হয়ে গেল? কারা পেঁয়াজ লুকিয়ে রেখেছে? গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ মজুতদারদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে দেশের ৫৪টি জেলায় অভিযান পরিচালনা করে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৯:৩২ ৬৯ বার পঠিত