ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পরদিন থেকেই দেশে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। যে পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১১০-১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে একই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়। পেঁয়াজের অস্থির বাজারে লাগাম টানতে সরকারের একাধিক সংস্থা মাঠে নেমেছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানী কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি মুড়িকাটা নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা, পাবনা-রাজশাহীর পুরান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২২০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি দরে।
পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযানে নেমেছে। বন্দরে আটকে থাকা পেঁয়াজ খালাসে তৎপর হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নানামুখী পদক্ষেপে দ্রুতই পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে বাজারে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। পেঁয়াজের ভালো ফলনের খবর দিচ্ছেন দেশের চাষীরা।
জানা গেছে, ভারত থেকে আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলা ৫২ হাজার টন পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ভারতের বাংলাদেশ হাইকমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পরও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে একদিনে ৭৪৩ টন পেঁয়াজ এসেছে। আগের এলসিকৃত আরও পেঁয়াজ শিগগিরেই দেশে আনা হবে। পেঁয়াজের আমদানির বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, মূলত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় দূতাবাসে চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রাইভেট সেক্টরের ৫২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা আছে। সেগুলো যাতে ছাড়া হয় সে বিষয়ে তাদের অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুতই এসব পেঁয়াজ দেশে আসবে।
পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ হলো, অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বেশি দামের আশায় পেঁয়াজ মজুদ করে ফেলেছেন। ফলে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের সংকট তৈরি হয়েছে। অনেক দোকানে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। মজুতকৃত পেঁয়াজ বাজারে নিয়ে আসতে রবিবার সকাল থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এছাড়া র্যাব, পুলিশ, ডিবি ও জেলা প্রশাসন থেকেও বাজার তদারকি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৬:২৮ ৩৪ বার পঠিত