গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসের একটি আবাসিক ভবনে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও ২২ জন।
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনার মধ্যেই মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাতে এই হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা।
বুধবার (২২ নভেম্বর) আল–জাজিরা টিভিতে ওই আবাসিক ভবনের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, কয়েকটি শিশুর মরদেহ বিছানার চাদর দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে। ভবনের অন্য বাসিন্দারা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজছেন।
হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত বার্তা সংস্থা শেহাবের পক্ষ থেকে টেলিগ্রাম অ্যাপে দেয়া একটি পোস্টে বলা হয়েছে, হতাহত ব্যক্তিদের নাসের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে অতর্কিত বোমা হামলা চালায় হামাস। এতে ইসরাইলের ১২০০ মানুষ নিহত হয়। এছাড়াও দেশটির ২৪০ বাসিন্দাকে বন্দি করে নিয়ে যায় হামাস। অন্যদিকে হামাসের এ হামলার জবাবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে অনবরত বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরাইলি বোমা হামলায় গাজায় ১৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি শিশু। আর নারীর সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়াও চলমান এ সংঘাতে ৩৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
তবে, দেড় মাস ধরে চলা এই যুদ্ধের সাময়িক বিরতির অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইল সরকার। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কাতারের মধ্যস্থতায় চারদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার।
চুক্তি অনুযায়ী ৫০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে বন্দী ১৫০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবেন; যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৩৮:১৪ ৫২ বার পঠিত