ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফায় ‘অবস্থান’ করা হামাস যোদ্ধাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলের স্থল বাহিনী। বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
এক্সবার্তায় আইডিএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আল শিফা হাসপাতালে লুকিয়ে থাকা সব হামাস যোদ্ধাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়েছে। তাদের আত্মসমর্পনের আহ্বান জানিয়েই অভিযান শুরু হয়েছে।’
সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের গোপন কমান্ড সেন্টার রয়েছে— অভিযোগ তুলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার আল শিফা হাসপাতালে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি স্থলবাহিনীর সদস্যরা। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ২ টা থেকে শুরু হয় এই অভিযান।
আল শিফা গাজা উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতাল। উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক ডা. মুনির আল বুর্শ বলেছেন, অভিযান শুরুর এক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলের স্থল বাহিনীর কর্মকর্তারা যোগাযোগ করেছিলেন তার সঙ্গে। তারা বলেছিলেন, আর কিছুক্ষণ পরেই হাসপাতালটিতে অভিযান শুরু হবে।
হাসাপাতালের এই অভিযানকে ‘ন্যায্য’ দাবি করে টুইটবার্তায় আইডিএফ আরও বলেছে, ‘এই হাসপাতালটিকে অব্যাহতভাবে সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহার করে আসছিল হামাস। এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘণ এবং হামাসের এই কৌশল হাসপাতালের সুরক্ষিত মর্যাদাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। হাসপাতালের অপব্যবহার বন্ধের জন্য এর আগে বহুবার হামাসকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।’
গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালটিতে এখনও ৬৫০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পাশাপাশি রয়েছেন অন্তত ৫ থেকে ৭ হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনি, যারা ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর টানা বোমা বর্ষণে ঘর-বাড়ি হারিয়ে হাসপাতাল কম্পাউন্ডে আশ্রয় নিয়েছেন।
এছাড়াও হাসপাতালটির ১ হাজারেরও বেশি ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী বর্তমানে আটকা পড়েছেন সেখানে।
জ্বালানি ও ওষুধ সংকটের কারণে আল শিফা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দু’দিন আগেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিকিৎসাধীন রোগীদের মৃত্যু শুরু হয়েছে এবং ইতোমধ্যে হাসপাতাল চত্বরে ১৭৯ জন রোগীকে দাফন করা হয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১১:২৬:৪৪ ৫৩ বার পঠিত