পারফরম্যান্সের সঙ্গে ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপের আগে আক্রমণাত্মক খেলে মূল টুর্নামেন্টে গিয়ে রক্ষণাত্মক হলে সেরা পারফরম্যান্স করতে পারবে না বাংলাদেশ। এমনটা মনে করেন ক্রীড়া বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। গত আয়ারল্যান্ড সিরিজে কঠিন অবস্থা থেকে যেভাবে জয় নিয়ে ফিরেছে, তা দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বলেও মনে করেন তিনি। মুস্তাফিজের ফর্মে ফেরা এবং মুশফিকের ৬ নম্বর পজিশনে মানিয়ে নেয়ার পেছনে হাথুরুসিংহের কৃতিত্ব দিলেন ফাহিম।
সুখকর আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষ। ক্রিকেটাররা এখন সময় কাটাচ্ছেন খানিক বিশ্রামে। সামনে আফগানিস্তান সিরিজ। তবে ভাবনায় আসন্ন বিশ্বকাপ। মেগা ইভেন্ট ঘিরে বহু প্রাপ্তির সফরের পরও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
আয়ারল্যান্ডর বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই মুখোমুখি হতে হয়েছে কঠিন চ্যালেঞ্জের। এই সিরিজে বড় প্রাপ্তি চাপের মুহূর্তে ভেঙে না পড়া, যা বিশ্বকাপের মঞ্চে কাজে দেবে বাংলাদেশের। মনে করেন ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
ফাহিম বলেন, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা কীভাবে হাল ধরব তা আমরা বেশ ভালোভাবে শিখেছি। এটা কিন্তু একটা অর্জন। এটা খেলোয়াড় ও ম্যানেজমেন্টকে তৃপ্তি দেবে। কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা ভেঙে পড়িনি, ওটাকে আমরা ধরেছি এবং বের হয়ে এসেছি -এটা খুব কাজে দেবে কারণ বিশ্বকাপ বা বড় বড় টুর্নামেন্টে এই পরিস্থিতিই হয়। খুব সূক্ষ্ম মার্জিনের এদিক-ওদিকের জন্য আমাদের জিততে বা হারতে হয় কিন্তু।
এই সিরিজে অন্যতম প্রাপ্তি হতে পারে মুস্তাফিজের ফর্মে ফেরা। ঘরের মাঠে বাজে পারফরম্যান্সের পর আইপিএলেও সময়টা ভালো কাটেনি। আইরিশদের বিপক্ষে ২ ম্যাচে বসে থাকতে হয়েছে বেঞ্চে। আর সেটাই কিনা তাতিয়ে দিয়েছে এই বাঁহাতি পেসারকে।
ফাহিম বলেন, ‘মানুষ যখন কোণঠাঁসা হয়ে পড়ে তখন অনেককিছু করে কিন্তু যা আগে করেনি। মুস্তাফিজের যে পারফরম্যান্স আমরা দেখেছি নিকট অতীতে তাতে ও ডেফিনিটলি পিছিয়ে আছে এবং ও আর অটোমেটিক চয়েস নেই দলের। এই বোধগুলো ওরও আছে কিন্তু। ও নিশ্চয়ই ভাবছে, কীভাবে ফিরে আসা যায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই অবাক হয়েছি, ওর মধ্যে যে পরিবর্তন এসেছে ওভারনাইট তা ব্যতিক্রমী উদাহরণ। তার চিন্তাভাবনার মধ্যে, শরীরী ভাষার মধ্যে, অ্যাকশনের মধ্যে যে ওভারনাইট পরিবর্তনটা, ইট ইজ টেরিফিক।’
হাথুরুসিংহের নতুন ধারা ক্রিকেট প্রশংসা কুড়াচ্ছে। সফল্যও এসেছে। ফাহিমের মতে, বিশ্বকাপের মতো মেগা ইভেন্টে সেরা পারফরম্যান্স পেতে হলে এই মানসিকতা ধরে রাখতে হবে ভারত পর্যন্ত।
ফাহিম বলেন, ‘অনেক সময় এমন হয় যে, এসব জায়গায় আমরা অনেক অ্যাগ্রেসিভ থাকলাম, খুব কথা বললাম, অনেককিছু করলাম, কিন্তু আসল কম্পিটিশনে গিয়ে একটু ঘাবড়ে গেলাম, একটু পিছিয়ে পড়লাম, একটু বেশি দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগলাম। সেটা যদি হয় তাহলে আমরা আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে পারব না। চ্যালেঞ্জটা মনে হয় ওখেনেই যে, আমরা আমাদের এই মানসিকতা বিশ্বকাপে নিয়ে যেতে পারব কি-না।’
ওপেনিংয়ে তামিম, লিটনের পাশাপাশি কাকে রাখা হবে তা শিগগির ভাবতে হবে নির্বাচকদের। খুব বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা না করে একটি নির্ধারিত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করার পরামর্শ তার।
বাংলাদেশ সময়: ১১:০০:৫০ ৭১ বার পঠিত