শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নে বহুমুখী উদ্যোগ নিচ্ছে : প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নে বহুমুখী উদ্যোগ নিচ্ছে : প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩



সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নে বহুমুখী উদ্যোগ নিচ্ছে : প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন অনুসরণ করে তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার শিক্ষার উন্নয়নে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
মন্ত্রী আজ শনিবার সকালে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নের বারহাল ফাজিল মাদরাসায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৪ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন ও ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাদরাসার সীমানা প্রাচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে একথা বলেন।
ইমরান আহমদ বলেন, শিক্ষা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষার প্রসারে প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন অনুসরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার শিক্ষার উন্নয়নে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, মানসম্মত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষে বিনামূল্যে শিক্ষাদান ও বছরের শুরুতে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করে সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান, স্কুল ফিডিং চালু এবং পাঠদানের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে লেখাপড়াকে আনন্দদায়ক করারও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, সরকারের নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়নে সাক্ষরতার হার ২০০৭ সালের ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বর্তমানে দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ ৯৮ দশমিক ২৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা বর্তমান সরকারের সাড়ে চৌদ্দ বছরে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
তিনি বলেন, যুগের পরিবর্তনের সাথে শিক্ষার চাহিদা ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা পদ্ধতিতে বৈচিত্র্য এসেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, বৃত্তিমূলক শিক্ষা, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষণ এবং তথ্যপ্রযুক্তিসহ সাক্ষরতা প্রদান জরুরি। তিনি বলেন, শ্রেণিকক্ষে উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি আইসিটি বেইজড শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। এসময় মন্ত্রী উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে জনগনের প্রতি আহবান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৬:০৯   ৪৪ বার পঠিত