মিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে ম্যাচটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল দুই দলের জন্যই। এমন লড়াইয়ে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) নেদারল্যান্ডসকে তেমন পাত্তাই দেয়নি আফগানিস্তান। ডাচদের সহজে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে এক ধাপ এগিয়ে গেল হাশমতউল্লাহ শহীদির দল।
লখনৌয়ের অটল বিহারী বাজপেয়ী স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের ৩৪তম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে আফগানরা। শুরুতে ব্যাট করে ১৭৯ রানে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১১ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আফগানরা।
এই জয়ে পাকিস্তানকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম অবস্থানে উঠে এসেছে আফগানিস্তান। ৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট এখন ৮। বাকি দুই ম্যাচে জয় পেলে সেমিফাইনালে ওঠার আশা ভালোভাবেই থাকবে রশিদ খান-মোহাম্মদ নবিদের। অন্যদিকে, ৭ ম্যাচের মধ্যে দুটিতে জেতা নেদারল্যান্ডস আছে টেবিলের অষ্টম স্থানে। তাদেরও সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা প্রায় শেষ।
লক্ষ্য ছোট হলেও ভালো শুরু পায়নি আফগানরা। তারা দলীয় ২৭ রানেই হারায় রহমানউল্লাহ গুরবাজের উইকেট। ফন বিকের লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ১০ রান করা গুরবাজ।
আরেক ওপেনার ইব্রাহীম জাদরানও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। তিনি আউট হয়েছেন ফন ডার মারওয়ার বলে বোল্ড হয়ে। ২০ রান করা ইব্রাহিম ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে ইন সাইড এজ হয়ে বোল্ড হন। তৃতীয় উইকেটে রহমত শাহ ও হাসমতউল্লাহ শহীদি যোগ করেন ৭৪ রান।
এই জুটিতেই আফগানিস্তানের জয়ের পথটা সহজ হয়ে যায়। রহমত আউট হয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি করে ৫২ রানে। তাকে কট অ্যান্ড বোল্ড করে ফিরিয়েছেন জুলফিকার সাকিব। এই ডাচ স্পিনারের টসড আপ ডেলিভারিতে বিভ্রান্ত হয়ে বোলারের হাতেই ক্যাচ তুলে দেন এই অভিজ্ঞ আফগান ব্যাটার। বাকি সময়টা দেখেশুনে খেলে আফগানিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন শহীদি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই ওয়েসলি বারেসিকে হারায় নেদারল্যান্ডস। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ম্যাক্স ও’দাউদ এবং কলিন অ্যাকারম্যান ৭০ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন। পাওয়ারপ্লের পর ডাচদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬৬ রান। তবে এরপরই শুরু হয় বিপর্যয়।
৪২ রান করা ও’দাউদ ফেরেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের দুর্দান্ত এক থ্রোয়ে। ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফেরেন কলিন অ্যাকারম্যানও। স্কট অ্যাডওয়ার্ডসও প্রথম বলেই ভুল করে বসেন। মোহাম্মদ নবির স্লোয়ার বল ফাইন লেগ দিয়ে মারতে গিয়ে মিস করেন, তবে বল কোথায় গিয়েছে সেই ধারণা ছাড়াই ক্রিজের বাইরে চলে আসেন এই অধিনায়ক। দ্রুত বল তুলে নিয়ে রান আউট করেন ইকরাম আলিখিল।
বাস ডি লিডি এবং সাকিব জুলফিকার ফিরেছেন কট বাহাইন্ড হয়ে। ডি লিডিকে ফিরিয়েছেন মোহাম্মদ নবি, সাকিব ফিরেছেন নূর আহমেদের বলে। বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন লোগান ফন বিক। একপ্রান্ত থেকে একাই লড়তে থাকা সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখট ফিফটির দেখা পেয়েছেন।
৮৬ বলে ৫৮ রান করে এঙ্গেলব্রেখটও ফিরেছেন রান আউট হয়ে। শেষদিকে ফন ডার মারওয়া এবং আরিয়ান দত্ত কিছুটা রান যোগ করলেও ২১ বল বাকি থাকতে ১৭৯ রানে থামতে হয় ডাচদের।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৪:১১ ৪২ বার পঠিত