স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশ ও জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের দৃঢ় সংকল্প নিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি সেক্টরে এবং অর্থনীতির প্রতিটি মানদন্ডে আজকে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি তা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুনির্দিষ্ট পথনকশা অনুসরণ করার ফলে সম্ভব হয়েছে। ১৯৮১ সালের ১৭ মে যদি প্রধানমন্ত্রী দেশে না ফিরতেন, তাহলে বাংলার দুঃখী মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের চাকা স্থবির হয়ে পড়তো। দেশ ও জনগণের জন্য উন্নয়ন করার সংকল্প নিয়েই তিনি দেশে ফিরেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ঘাতকের নির্মম বুলেট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যে লক্ষ্য অর্জন করতে দেয়নি, তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে সেই লক্ষ্যের দিকে দেশ ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় আইডিইবি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশল পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: এগিয়ে যাবার চার দশক ও আগামীর প্রত্যয়” শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনকালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতা গ্রহণ করে, তখন মাথাপিছু গড় আয় ছিল ৭শ’ মার্কিন ডলার, বর্তমানে তা ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় ১৭ কোটি মানুষের দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ অথচ দীর্ঘ একুশ বছর সামরিক শাসনকালে এদেশের অনেক মানুষ অভুক্ত ছিলেন, দারিদ্র্যের কষাঘাতে দিন যাপন করতে হয়েছিল।
তাজুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাতে আজ দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্ভব হয়েছে। বিদ্যুতের নানা রকম সুফল আজ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ ভোগ করছেন। ইন্টারনেট সংযোগের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়িত হওয়ায় গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও আজ ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারছেন।
বিএনপি শাসনামলে মোবাইল সেবা একটি কোম্পানির একচেটিয়া দখলে ছিল এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে অন্যান্য মোবাইল কোম্পানির জন্য উন্মুক্ত করে দেন। এতে জনগণ সুফল পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ সফলতার সাথে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তীর্ণ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অর্জন এমনিতে আসেনি, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে এ লক্ষ অর্জন করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আগে ঋণের জন্য বিভিন্ন দাতাসংস্থার কাছে বাংলাদেশের ধরনা দেওয়া লাগতো অথচ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বের ফলে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা আমাদের কাছে ঋণ নিয়ে আসে।’
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে আমরা এগিয়ে চলেছি। এমনকি শত বছরের পথনকশা ডেল্টা প্ল্যানও তিনি আমাদের জন্য করে দিয়েছেন। এ হচ্ছে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলাফল।’
সভায় মূল আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশল পরিষদের সহ-সভাপতি সামছুর রহমান খান।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩১:০৯ ৫৫ বার পঠিত