নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ৫ বছর পর পর যখনই নির্বাচন আসে তখন একটি গোষ্ঠী দেশের ভিতরে ও দেশের বাইরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় যাতে আওয়ামী লীগকে হটানো যায়। বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ যেই উন্নয়নমূলক কাজ করেছে এবং সারাবিশ্বে যেভাবে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছে, আমার মনে হয় না অতীতে কোনো দল এটা করতে পেরেছে। সুতরাং ঈর্ষান্বিত হয়ে এই সরকারের কিভাবে বদনাম করা যায়, উন্নয়নমূলক কাজ থামানো যায়, আওয়ামী লীগকে মুছে ফেলা যায় তা করতে ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিএনপি জামাতের অগ্নি সন্ত্রাস জ্বালাও পোড়াও ও সহিংসতার প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। নগরীর ২ নং রেল গেইট এলাকায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ফিলিস্তিনের প্রসঙ্গ টেনে মেয়র বলেন, যখন মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে হামলা হয় তখন মানবাধিকার সংস্থাগুলো চুপ হয়ে যায়। আমাদের সাহসী নেত্রী যিনি (শেখ হাসিনা) এই ফিলিস্তিনে হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন এবং শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা একবারও ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ায় নাই। জামায়াত যেই রাজনীতি করে তাদেরও কিন্তু সবার আগে সোচ্চার হওয়ার কথা ছিলো, তারাও একটি কথা বলে নাই। সেখানে আমাদের নেত্রী মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে সারাবিশ্বের সামনে এই বিষয়ে কথা বলেছেন। মানবাধিকার শুধু বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য, অন্যদের জন্য নয় তা তো হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, গতকাল পৈশাচিক ভাবে দায়িত্বরত অবস্থায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা করা হয়েছে। হামলার পর যখন তারা পিছিয়ে যাচ্ছিলো আত্মরক্ষার জন্য তখন নির্মমভাবে একজনকে মারা হলো, মৃত্যু হয়েছে জেনেও তাকে পিটানো হলো। ওই পুলিশ ভাই শুধু পুলিশ ছিলো না, তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই যে তিনি দায়িত্ব পালনের সময় তাকে আত্মাহুতি দিতে হয়েছে। আমাদের দল ও নেত্রী আমাদের সকল সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের যে নির্দেশ দিয়েছে আমরা সেই নির্দেশ মোতাবেক একসাথে কাজ করবো। এই ক্রান্তিলগ্নে আমি অনুরোধ করবো, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগসহ সকল অঙ্গসংগঠনকে বলবো, যে আপনারা একসাথে কর্মসূচি দিবেন, আমরা একসাথে কাজ করবো।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই’র সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাবেক সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলী, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি খবিরউদ্দিন আহমেদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, নাসিক কাউন্সিলর ও ১৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. নিজাম আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সুমন, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল, সিনিয়র সহসভাপতি কামরুল হুদা বাবুসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০১:১৭ ৫৪ বার পঠিত